Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Online Class

online class: জমা পড়েনি ফি, অনলাইন ক্লাসে ‘ব্রাত্য’ পড়ুয়ারা

কোনও স্কুলে ১০ জন, কোথাও আবার সাত-আট জন পড়ুয়াকে অনলাইন ক্লাস করতে দেওয়া হচ্ছে না। বঞ্চিত পড়ুয়াদের প্রকৃত সংখ্যা জানা যায়নি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

রাজীব চট্টোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৫৪
Share: Save:

মাসিক ফি দিতে না পারায় পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাস করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে। প্রথম দিকে এই ধরনের অভিযোগ আসছিল শুধু কলকাতা থেকে। এখন ব্যারাকপুর, হুগলি এবং দুর্গাপুর থেকেও এমন অভিযোগ আসতে শুরু করেছে বলে রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন সূত্রের খবর। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত কমিশন।

কমিশন সূত্রের খবর, শুধু কলকাতা থেকেই এই ধরনের একাধিক অভিযোগ এসেছে। পাশাপাশি অভিযোগ এসেছে বিধাননগর, ব্যারাকপুর, হুগলি ও দুর্গাপুরের বেশ কিছু স্কুল থেকেও। কমিশনের এক সদস্য জানিয়েছেন, দু’-এক দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন। বিষয়টি নিয়ে শুনানি হবে। সেখানে হাজির থাকতে বলা হয়েছে অভিযোগকারী পড়ুয়াদের অভিভাবক, স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষা দফতরের প্রতিনিধিদেরও।

কমিশন সূত্রের খবর, কোনও স্কুলে ১০ জন, কোথাও আবার সাত-আট জন পড়ুয়াকে অনলাইন ক্লাস করতে দেওয়া হচ্ছে না। বঞ্চিত পড়ুয়াদের প্রকৃত সংখ্যা জানা যায়নি। তাদের অভিভাবকদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন, ফি না দিলে ওই ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে ক্লাস করতে দেওয়া হবে না। সমস্যার কথা স্বীকার করলেও শুনানির আগে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী।

রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের এক সদস্যা জানান, এমন অভিযোগ পেয়ে একাধিক বার হস্তক্ষেপ করেছিলেন তাঁরা। চিঠি পাঠানো হয়েছিল কয়েকটি স্কুলে। অভিযুক্ত স্কুলগুলির একটিতে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কমিশনের এক সদস্যা। তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়, ফি দিতে না পারা পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু অভিযোগ, সেই প্রতিশ্রুতি রাখেননি স্কুলের কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির কর্তৃপক্ষকে শুনানিতে ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সংস্থা সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিক থাকলে কাল, মঙ্গলবার কমিশনের কার্যালয়ে শুনানি হবে।

কমিশনের এক সদস্যা বলেন, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষকে বুঝতে হবে, কোনও অভিভাবকই ইচ্ছাকৃত ভাবে ফি আটকে রাখেন না। করোনা-আবহে অনেকেই আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন। তাই বিষযটি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Online Class
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy