—প্রতীকী চিত্র।
প্রতিবেশী এক স্কুলছাত্রকে অপহরণ করে খুনের চেষ্টার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিলেন আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক মধুমিতা রায়। অপরাধীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত সইফুদ্দিন মণ্ডলকে গত শনিবার দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। সোমবার তিনি সাজা ঘোষণা করেন।
এই মামলার সরকারি আইনজীবী আকবর আলি মোল্লা জানান, ২০১৭ সালে রবীন্দ্রনগর থানা এলাকার বাসিন্দা, পঞ্চম শ্রেণির রাহিকুল ইসলাম মণ্ডল স্কুলে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। সে দিনই তার কাকার মোবাইলে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। রাতে রবীন্দ্রনগর থানা থেকে রাহিকুলের পরিজনদের জানানো হয়, গুরুতর জখম অবস্থায় ওই কিশোর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবার গিয়ে দেখে, রাহিকুলের গলায় বড়সড় ক্ষত। ওই নাবালক জানায়, প্রতিবেশী সইফুদ্দিন তাকে মেলা দেখানোর নামে ট্রেনে করে এক জায়গায় নিয়ে যায়। তার পরে কয়েক জনের সঙ্গে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেয়। এর পরেই রবীন্দ্রনগর থানায় সইফুদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রাহিকুলের পরিবারের আইনজীবী সুরজিৎ রায় বলেন, ‘‘সুস্থ হলে আদালতে গোপন জবানবন্দি দেয় ওই নাবালক। অপহরণ করে বারুইপুরে নিয়ে গিয়ে অন্য দুই দুষ্কৃতীর হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। তারা রাহিকুলের গলার নলি কেটে বারুইপুরের কীর্তনখোলা এলাকার একটি জঙ্গলে ফেলে পালায়। জ্ঞান ফিরলে ওই নাবালক নিজের গলার নলি হাত দিয়ে চেপে ধরে কিছুটা ছুটে রাস্তায় চলে আসে। তার পরে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। স্থানীয়েরা তাকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।’’ ঘটনায় জড়িত সইফুদ্দিনের দুই শাগরেদ পলাতক বলে আদালতে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy