আলিপুর আদালত।—ফাইল চিত্র
পুরনো মামলায় আদালতের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানায় অভিযুক্তের বাড়ি কোনও নির্দিষ্ট থানার এলাকাভুক্ত না হলেও তা আদালতে ফেরত পাঠাতে পারবে না সংশ্লিষ্ট থানা। অভিযুক্তকে সরাসরি গ্রেফতার করে বা যে থানা এলাকায় অভিযুক্ত থাকেন, সেখানে ওই পরোয়ানা পাঠিয়ে সেটিকে কার্যকর করতে হবে বলে আদালত নির্দেশ জারি করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, সম্প্রতি আলিপুর আদালতের তরফে ওই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে শহরের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এবং ডিভিশনাল ডিসিদের। গ্রেফতারি পরোয়ানার পাশাপাশি, আদালতের সমনের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ মেনে চলতে বলেছেন আলিপুর আদালতের বিচারক মহম্মদ জাফর পারভেজ। আদালত ওই নির্দেশ জারি করতে গিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে টালবাহানার কারণেই বিভিন্ন মামলার বিচার-পর্ব শেষ করতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। লালবাজার জানিয়েছে, আদালতের জারি করা ওই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য বলা হয়েছে সব থানাকে।
কেন আদালত ওই নির্দেশ জারি করল?
আদালত সূত্রের খবর, গত জানুয়ারি মাসে আলিপুর আদালতের বিচারকের তরফে কড়েয়া থানা এলাকার বাসিন্দা এক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ১৯৯৭ সালে কড়েয়া থানা এলাকার একটি বাড়িতে এক ব্যক্তিকে আটকে রেখে মারধরের মামলায় পলাতক ওই অভিযুক্ত। গড়িয়াহাট থানাকে ওই পরোয়ানা কার্যকর করতে বলা হয়েছিল আলিপুর আদালতের তরফে। ১৫ জানুয়ারি গড়িয়াহাট থানার তরফে আদালতের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়। বলা হয়, ওই অভিযুক্তের বাড়ি বা মামলাটি তাদের থানা এলাকার অধীনে নয়। রিপোর্টটি দেখার পরেই সম্প্রতি আলিপুর আদালতের বিচারক ওই নির্দেশ জারি করেন।
আদালত স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে, গড়িয়াহাট থানা ওই নির্দেশ অমান্য করে ভুল করেছে। ওই নির্দেশ কার্যকর করে সেপ্টেম্বর মাসের পাঁচ তারিখের মধ্যে তা আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে গড়িয়াহাট থানা খুবই ঢিলেঢালা মনোভাব দেখিয়েছে। বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই মামলার বিচার-পর্ব চলছে, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের নির্দেশ কার্যকর না করে তা ফিরিয়ে দেওয়ায় বিচার-পর্বে আরও দেরি হবে।
লালবাজারের একাংশ জানিয়েছে, সাধারণ ভাবে যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হচ্ছে, তিনি একটি নির্দিষ্ট থানা এলাকার বাসিন্দা না হলে কিংবা ওই থানার মামলা না হলে বিষয়টি আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানিয়ে দেওয়াই দস্তুর। গড়িয়াহাট থানা এ ক্ষেত্রে ওই পরোয়ানার প্রেক্ষিতে রিপোর্ট জমা দিলেও আদালত তা মানতে চায়নি। তাই ওই নতুন নির্দেশিকা জারি করেছেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy