প্রতীকী ছবি।
ডিজ়েলের দাম বেড়ে চলায় বাসভাড়া বাড়ানোর দাবিতে মঙ্গলবার শহরের একাধিক বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ দেখালেন বাসমালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে গণপরিবহণ এখন স্তব্ধ। ১৫ জুন পর্যন্ত চলবে সরকারি বিধিনিষেধ। কিন্তু জ্বালানির দাম যেখানে পৌঁছেছে, তাতে এর পরেও বাস-মিনিবাস সচল হবে কি না, তা নিয়েই সংশয়ে মালিকেরা। বেসরকারি বাস-মিনিবাস মালিকদের বক্তব্য, গত বছরের লকডাউনের সময়ে লিটার-প্রতি ডিজ়েলের দাম ছিল ৬৪ টাকা। এখন তা প্রায় ৯০ ছুঁয়েছে। অথচ করোনার জেরে যাত্রী-সংখ্যা তলানিতে। এই অবস্থায় সামঞ্জস্যপূর্ণ হারে ভাড়া বৃদ্ধি না-হলে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়।
এ দিন ‘বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর প্রতিনিধিরা বিভিন্ন স্ট্যান্ডে বিক্ষোভ দেখান। ওই সংগঠনের বক্তব্য, ২০১৪ সালে বাসের ন্যূনতম ভাড়া ছিল পাঁচ ও ছয় টাকা। এখন ডিজ়েলের দাম বাড়লেও বাসের ন্যূনতম ভাড়া সাত ও আট টাকা রয়েছে। বাসের বিমার খরচ বছরে ৪২ হাজার থেকে বেড়ে ৫৮ হাজার টাকা হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘পকেটের টাকা দিয়ে তো বাস চালানো সম্ভব নয়। কর্মীদের মতো বাসমালিকেরাও এখন আর্থিক অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।’’ ‘মিনিবাস অপারেটর্স কোঅর্ডিনেশন কমিটি’র তরফে স্বপন ঘোষ বলেন, ‘‘ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি দ্রুত বিবেচনায় আনা প্রয়োজন সরকারের।’’
ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি তৈরির কথা রয়েছে। অভিযোগ, বিগত বছরেও কমিটি তৈরি হলেও সমস্যা মেটেনি। ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘ডিজ়েলের দামের বিষয় কেন্দ্রের হাতে। বাসভাড়া রাজ্য ঠিক করে। দুইয়ের মধ্যে সমতা না-থাকলে মালিকেরা যাবেন কোথায়? সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হলে পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy