সল্টলেকের করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে মেলা মশার লার্ভা। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র।
চিত্র-১: পরিত্যক্ত টিনের পাত্র সরাতেই ভিতরে কালো জল। একই অবস্থা বড় বড় টায়ারের। তাতে জল জমে কিলবিল করছে লার্ভা। এমন অবস্থা সল্টলেকের করুণাময়ীর আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাসে।
চিত্র-২: খানিকটা এগিয়ে ওই বাস টার্মিনাসের শেষ মাথায় বাসস্ট্যান্ডে রয়েছে একাধিক অস্থায়ী ভাতের হোটেল। তার বাইরে ড্রামে জমানো জলেও মিলল মশার লার্ভা।
লাগাতার নিম্নচাপের জেরে হওয়া বৃষ্টিতে বিধাননগরের বহু জায়গায় এমনিতেই ঝোপজঙ্গল বেড়ে গিয়েছে। জল জমে রয়েছে অনেক জায়গায়। বিধাননগর পুর এলাকায় চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭। যা দেখেই মঙ্গলবার তড়িঘড়ি সল্টলেকের কয়েকটি এলাকা পরিদর্শনে বেরোয় বিধাননগর পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য প্রণয় রায়ের নেতৃত্বে আধিকারিক-দল।
দলের প্রথম গন্তব্য ছিল করুণাময়ীর ওই দুই বাস টার্মিনাস। অতীতেও ওই জায়গা থেকে ডেঙ্গির মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল। অভিযোগ, তার পরেও হেলদোল নেই স্থানীয় পরিবহণকর্মী কিংবা অস্থায়ী হোটেলগুলির। এ দিন টায়ারের ভিতরে জমা জলে রাসায়নিক ছড়ানো হয়, ধোঁয়া দেওয়া হয় বাস টার্মিনাসেও। পুরকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন অস্থায়ী ওই হোটেলের মালিকেরাও। এক মালিক সিন্টু দত্তকে বলতে শোনা যায়, ‘‘জল প্রতিদিন পাল্টানো হয়। কাল থেকে সতর্ক থাকব।’’ যদিও পুরকর্মীরা দেখেন, হাত ধোয়ার জন্য রাখা জলেও রয়েছে লার্ভা।
পরবর্তী গন্তব্য ছিল সল্টলেকের ডিএল ব্লক। স্থানীয় কোঅর্ডিনেটর সুধীর সাহাকে সঙ্গে নিয়ে হানা দেওয়া হয় জঙ্গলে ভরা পাঁচিল ঘেরা জমিতে। ভিতরে প্লাস্টিকের ছাউনির নীচে থাকে একটি পরিবার। প্লাস্টিক, থার্মোকল, ভাঙা কমোড-সহ বিভিন্ন জিনিস ফেলে রাখা হয় সেখানে। ঘরের সামনে থাকা ড্রামের জলেও মিলল মশার লার্ভা। ওই জমি সংলগ্ন বাড়িতে এক পরিবারের দু’জন সম্প্রতি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
বাসিন্দাদের দাবি, কেষ্টপুর এবং ইস্টার্ন ড্রেনেজ— দু’টি খালের ধারেই ঘন জঙ্গল তৈরি হয়েছে। যার ভিতরে যাবতীয় জঞ্জাল ফেলে যান অনেকে। পুরসভার বক্তব্য, এ সবের জেরেই মশার বাড়বাড়ন্ত সল্টলেকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রণয় বলেন, ‘‘পুরসভা অভিযান চালাচ্ছে। তবে মানুষকেও সতর্ক হতে হবে। এ দিন আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাসে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে। সবাইকে সতর্ক করেছি। না শুনলে প্রশাসনিক পর্যায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy