শঙ্কুদেব ও বিপ্লব। নিজস্ব চিত্র।
টলি পাড়ায় চমক দিল গেরুয়া শিবির। সঙ্ঘ এবং বিজেপির অনুমোদন নিয়ে চলচ্চিত্র জগতের শিল্পী ও কলাকুশলীদের একজোড়া সংগঠন সম্প্রতি পাপড়ি মেলেছে টালিগঞ্জে। ফিল্ম এবং টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিত হয়ে ওঠা কিছু কিছু মুখ শামিলও হয়ে গিয়েছেন সেখানে। কিন্তু ছাপ মারা সিপিএম হিসেবে পরিচিত বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়কে গেরুয়া ছাতার তলায় হাজির করে টলিউডে অনেককেই এ বার চমকে দিল বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ (বিসিপি)। সৌজন্যে শঙ্কুদেব পণ্ডা।
রাজ্যের এক মন্ত্রী এবং তাঁর ভাইয়ের যে একচ্ছত্র দাপট গত বেশ কিছু বছর ধরে শাসন করছে টলিউড ও টেলিউডকে, তা মেনে নিতে এখনও প্রস্তুত নন বেশ কিছু শিল্পী ও কলাকুশলী। সর্বাগ্রে তাঁদের দরজাতেই পৌঁছচ্ছে বিসিপি। সেই প্রচেষ্টাতেই উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছেন শঙ্কুদেব।
এককালে শঙ্কু তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাপুটে সভাপতি ছিলেন। দল তাঁর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার পরে শঙ্কু কিছু দিন রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। পরে বিজেপিতে যোগ দেন। তবে রাজনীতি থেকে দূরে থাকাকালীন শঙ্কু একটি বাংলা ছবি তৈরি করেছিলেন। সে সময় থেকেই টলিউডের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ দৃঢ় হতে শুরু করে। সেই সূত্রেই এখন গেরুয়া শিবিরের টলি সংগঠনের অন্যতম নেতা নেতা শঙ্কু। গত কয়েক সপ্তাহে টলিউডের অনেক সিনিয়র ও পরিচিত মুখে সঙ্গে শঙ্কুদেব পণ্ডা কথা বলেছেন বলে খবর। শনিবার বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ঘণ্টা দেড়েক বৈঠক হয় বলে শঙ্কু জানিয়েছেন। তার পরেই বিল্পব শামিল হয়েছেন বিসিপি-তে।
বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়কে দেওয়া বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদের চিঠি। নিজস্ব চিত্র।
আপাতত পরামর্শদাতা হিসেবে বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় বিসিপি-র সঙ্গে থাকছেন। পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য হওয়ায় সম্মতি দিয়ে বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় যে চিঠিতে সই করেছেন, তা-ও রবিবার প্রকাশ্যে আনা হয়েছে বিসিপির তরফে।
আরও পড়ুন : জানা হল না এরশাদের সেই না বলা কথা
আরও পড়ুন : নতুন মন্ত্রক নিয়ে অখুশি, পঞ্জাব মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা সিধুর
বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী বা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়রা ঘোষিত বামপন্থী। বাম জমানায় রাজ্যের প্রধান শাসক দল সিপিএমের সঙ্গে এঁদের ঘনিষ্ঠতা ছিল যথেষ্টই। সৌমিত্র বা সব্যসাচীদের সে ভাবে ঝান্ডা ধরতে দেখা যায়নি। কিন্তু বিপ্লবকে সক্রিয় রাজনীতিতেও দেখা গিয়েছে। তিনি বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের টিকিটে লড়েছেন।
রাজ্যের ক্ষমতার অলিন্দে পরিবর্তন আসার পরে টলিউডের অধিকাংশ লোকজনই তৃণমূলের দিকে ঝুঁকে পড়েন। কিন্তু সৌমিত্র, সব্যসাচী, বিপ্লবরা সে তালিকায় নাম লেখাননি। বামপন্থার প্রতিই আস্থা দেখিয়ে গিয়েছেন এবং তৃণমূলের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য দূরত্ব বজায় রেখেছেন।
বিপ্লব এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন। শুধু তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা নয়, তৃণমূলের সক্রিয় বিরোধিতা শুরু করার ইঙ্গিতই তিনি দিয়ে দিলেন বিজেপির টলি সংগঠনের পরামর্শদাতা কমিটিতে প্রবেশ করে।
‘‘বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিত্বকে পাশে পাওয়াটা খুব বড় ব্যাপার। তিনি বিসিপির পরামর্শদাতা হওয়ায় টলিউডে অনেকেই চমকে গিয়েছেন। তবে আরও চমক অপেক্ষা করছে।’’ মন্তব্য শঙ্কুদেব পন্ডার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy