—প্রতীকী ছবি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি (ইসি)-র বৈঠকে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনায় প্রস্তাব এসেছে, যাঁরা ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁরা নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাস বা হস্টেলে ঢুকতে পারবেন না। এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে বলেই খবর।
এর আগে ঠিক হয়েছিল, রিপোর্টে মেন হস্টেলের এ২ ব্লকের ৩৫ আবাসিককে হস্টেল থেকে বহিষ্কারের যে সুপারিশ রয়েছে, তা আপাতত কার্যকর করা হোক। এর পরে অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড এবং অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির মতামত আসার পরে যা করার করা হবে। কিন্তু এতে, মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত চলা ইসির বৈঠক কক্ষে এসে মেন হস্টেলের এ২ ব্লকের কিছু আবাসিক-সহ পড়ুয়াদের একাংশ আপত্তি তোলেন। তাই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি।
এই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রথমে ইসিতে পেশ করা হবে না ঠিক হলেও পরে পেশ করা হয়। রিপোর্টে বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ রয়েছে। প্রায় ১২ ঘণ্টা চলার পরে রাত ২টোর পরে বৈঠক শেষ হয়।
আইন অনুযায়ী উচ্চ শিক্ষা দফতরের অনুমতি নিয়ে ইসির বৈঠক করা হয়। কিন্তু এই বৈঠকের কথা উচ্চ শিক্ষা দফতরকে জানালেও তাদের সবুজ সঙ্কেত পাওয়া যায়নি বলেই খবর। তার পরেও বৈঠক হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, ২০১৭-র আইন এবং ২০১৯-এর বিধি না মানলেও হয়!’’
বুধবার শিক্ষকদের উদ্যোগে বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রদের র্যাগিং নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। র্যাগিং থেকে দূরে থাকার বিষয়ে তাঁদের বিভিন্ন তথ্য দেওয়া হয়। বিভিন্ন কমিটির যোগাযোগের তথ্যও দেওয়া হয়। মানসিক চাপের মধ্যে পড়লে পড়ুয়ারা কী করবেন, কী ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের সাহায্য করবে, সবই এ দিন জানানো হয়।
এ দিকে যাদবপুরের ক্যাম্পাসে ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে পড়ায় মঙ্গলবার কর্মসমিতির বৈঠকে ক্যাম্পাসে পঠনপঠন কী ভাবে করানো হবে, তা নিয়ে বিভাগীয় প্রধানদের মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আজ, বৃহস্পতিবারের মধ্যে তা বিভাগীয় প্রধানদের জানাতে হবে। তবে সূত্রের খবর, বিভাগীয় প্রধানদের অনেকেই অনলাইন ক্লাসের পক্ষে নন। অনলাইন ক্লাস নিলে পড়ুয়ারা অনলাইনে পরীক্ষার দাবি তুলবেন কি না, সেই নিয়ে প্রশ্নও রয়েছে।
কলকাতার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ক্যাম্পাসে ও হস্টেলে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় কার্যকরী পদক্ষেপ করার দাবিতে ছাত্র সংগঠন ডিএসও-র পক্ষ থেকে কলকাতা পুরসভায় মেয়রের দফতরে এ দিন স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy