মেট্রোর সুড়ঙ্গ থেকে কাটা মাটি হাওড়ায় যত্রতত্র না ফেলার জন্য ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের করা মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি এস পি ওয়াংদি ও পি সি মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, রাসায়নিক মিশ্রিত ওই মাটি যত্রতত্র ফেললে পরিবেশ দূষিত হতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে রিপোর্টও দিতে বলেছে আদালত। পাশাপাশি হাওড়া পুরসভাকেও তাদের আইন প্রয়োগ করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না, তা দেখতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি ডাম্পারে ওই মাটি নিয়ে যাওয়ার সময়ে তা ছড়িয়ে পঞ্চাননতলা রোড, কামারডাঙা রোড-সহ আড়ুপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়। রোদে মাটি শুকিয়ে যাওয়ায় ধুলোর ঝড়ে জেরবার হন বাসিন্দারা। আবার বৃষ্টিতে কাদায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে। প্রতিকার চেয়ে স্থানীয়েরা পথ অবরোধও করেন। এর পরেই কেএমআরসিএল রাতারাতি রাস্তা পরিষ্কারের কাজ শুরু করে। ডাম্পারে করে মাটি নিয়ে গিয়ে আড়ুপাড়ায় জলাশয় বোজানোও বন্ধ করে দেয়।
এ দিন আদালত নির্দেশ দিয়েছে, রাস্তায় ছড়ানো মাটি অবিলম্বে ধুয়ে ফেলতে হবে ও ভবিষ্যতে যাতে এ ভাবে মাটি না পড়ে, তা দেখতে হবে। সুভাষবাবু বলেন, ‘‘মাটি তোলার সময়ে দু’টি রাসায়নিক মেশানো হয়, যাতে সহজে মাটি খোঁড়া যায়। ওই রাসায়নিক অত্যন্ত ক্ষতিকর। ওই বিষাক্ত মাটি গঙ্গায় পড়ে
দূষণ ছড়াচ্ছিল।’’
আদালত দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে আরও দু’টি বিষয় খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে বলেছে। প্রথমত, মাটি খোঁড়ার সময়ে যে রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে তার পরিমাণ কত। দ্বিতীয়ত, মেট্রো কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট জায়গায় মাটি ফেলছেন কি না। সুভাষবাবুর অভিযোগ, এখনও কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ মাটি নিয়ে গিয়ে জায়সবাল হাসপাতাল ও ডুমুরজলা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ভিতরে ফেলছেন। ফলে সেখানে রাস্তা ঢাকছে মাটির আস্তরণে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy