—প্রতীকী চিত্র।
করোনার প্রজাতি জানতে করা হত জিনোম সিকোয়েন্স। আর মশাবাহিত ভাইরাসের প্রজাতি জানতে ডেঙ্গি-সেরোটাইপিং শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই রিপোর্ট জমা পড়ল নবান্নে। তাতে জানানো হয়েছে, রাজ্যে যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি চলছে, তার নেপথ্যে আছে ‘ডেন-৩’ স্ট্রেন। চিকিৎসকদের মতে, এই স্ট্রেন আপাত নিরীহ স্বভাবের। তাই সকলেই সঙ্কটজনক হবেন না।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির চারটি প্রজাতি রয়েছে— ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪। প্রথম ও তৃতীয়টিতে সমস্যা কম। অর্থাৎ, আক্রান্ত হলেও সঙ্কটজনক হওয়ার ঝুঁকি কম। তবে দ্বিতীয় ও চতুর্থ প্রজাতি অতি দ্রুত সঙ্কটজনক করে তোলে। স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, ভাইরাসের কোন প্রজাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তা জানা জরুরি। তাই নাইসেড ও স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে ডেঙ্গির সেরোটাইপিং হচ্ছে। জুলাইয়ে ৪১০ জনের পজ়িটিভ ডেঙ্গি নমুনার সেরোটাইপিং হয়। ৩০০ জনের রিপোর্ট মিলেছে। তাতে ডেন-১ ৪.১%, ডেন-২ ১৭%, ডেন-৩ ৬৩.২% এবং ডেন-৪ ১৫.২% মিলেছে। জনস্বাস্থ্যের চিকিৎসকেরা বলছেন, এখন ডেন-৩ স্ট্রেনের আধিক্য বেশি, যা স্বস্তির। কিন্তু ২০১৯-এর মতো হঠাৎ ডেন-২ বা ডেন-৪ একযোগে তাণ্ডব শুরু করলে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা যেমন বাড়ে, তেমনই বাড়ে মৃত্যুও।
২০২২ সালে প্রথমে ডেন-৩ থাকলেও পরে আসে ডেন-২। বর্ষার শেষে দেখা গিয়েছিল ডেন-৩ ৫২% এবং ডেন-২ ৪০%। দু’টিই প্রায় সমানতালে চলছিল। এ বছর এখনও তেমন পরিস্থিতি নয়। ডেন-৩ স্ট্রেনের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে ডেন-২। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্তারা বলছেন, ‘‘আরও ক’টা মাস পরিস্থিতির উপরে কড়া নজর রাখতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy