যে ব্যবসায়ী-পুত্রকে আবেশের মৃত্যু সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ, সে রবিবার সকাল থেকে টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে স্বেচ্ছাবন্দি ছিল। কিন্তু দুপুরে সে মুখে চাদর চাপা দিয়ে বাড়ির বাইরে বেরোয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তার পরে গাড়িতে উঠে চলে যায়। পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার রাতের পর রবিবারও ব্যবসায়ী-পুত্রকে বালিগঞ্জ থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিকেলে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। তার পর আর ওই কিশোরের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
এ দিন আবেশের দিদিমা কৃষ্ণা পাল জানিয়েছেন, পার্ক স্ট্রিটের একটি কনভেন্ট স্কুলে পড়ার সময় থেকেই ওই ব্যবসায়ী-পুত্রের সঙ্গে আবেশের বন্ধুত্ব। পরে আবেশ এগারো ক্লাসে ওই স্কুল ছেড়ে অন্য স্কুলে ভর্তি হলেও বন্ধুত্ব অটুট ছিল।
টালিগঞ্জের বাসিন্দা ওই ছাত্রীও আবেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করেনি। এ দিন টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে বসে তার বক্তব্য, ‘‘একই পাড়ায় থাকতাম, তাই ওই ব্যবসায়ীর ছেলেকে ছোটবেলা থেকেই চিনতাম। গত মাসে ও-ই আবেশের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। আমরা মেলামেশা শুরু করি। একে অন্যকে পছন্দও করতাম।’’ সে জানায়, ব্যবসায়ীর কথা শোনার পর তার মা তাকে বকাবকি করেন। তার পর দিন তিনেক সে আবেশের সঙ্গে কথা বলেনি। পরে সব ঠিক হয়ে যায়। শুক্রবার গভীর রাতেও তারা দু’জনে কথা বলেছিল, অল্পবিস্তর ঝগড়াও হয়েছিল। কিন্তু শনিবার যে আবেশ সানি পার্কে একটি মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে পার্টিতে যাবে, সে কথা জানত না ওই ছাত্রী। শনিবার রাতে ইএম বাইপাসের একটি পাঁচতারা হোটেলে অন্য একটি পার্টিতে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। সে বিষয়ে আবেশকে ফোন করেছিল সে। সাড়া মেলেনি। পরে গল্ফগ্রিনের বাসিন্দা এক বন্ধুর কাছ থেকে আবেশের মৃত্যুসংবাদ শোনে সে। ওই বন্ধুই আবেশের মাকেও ফোন করেছিল। এ দিন অবশ্য সে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চায়নি।
ওই কলেজ ছাত্রীর বক্তব্য, ‘‘এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। মনে হচ্ছে, আবেশ ঘুমোচ্ছে। উঠেই আমাকে টেক্সট করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy