Advertisement
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
Lynching

টাকার দাবিতে সহকর্মীদের প্রহার, হাসপাতালে ভর্তি আহত যুবক 

অভিযোগ, কখনও ঘুষি, কখনও বেল্ট, কখনও কাঠ দিয়ে পেটানো হয় এক যুবককে। সময় যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে টাকার চাহিদা। অভিযোগ, মদ্যপানের টাকা না দেওয়ায় তাঁর উপরে ওই অত্যাচার চালানো হয়েছে।

An image of lynching

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৩ ০৮:০২
Share: Save:

সারা রাত একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল যুবককে। অভিযোগ, কখনও ঘুষি, কখনও বেল্ট, কখনও কাঠ দিয়ে পেটানো হয় তাঁকে। সময় যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে টাকার চাহিদা। সহকর্মীদের মারধরে আপাতত বারাসত মেডিক্যাল কলেজে শরীরে গুরুতর আঘাত নিয়ে ভর্তি পেশায় নিরাপত্তাকর্মী ওই যুবক। অভিযোগ, মদ্যপানের টাকা না দেওয়ায় তাঁর উপরে ওই অত্যাচার চালানো হয়েছে।

কলকাতার শেক্সপিয়র সরণিতে একটি বেসরকারি সম্পত্তির পাহারায় ছিলেন ওই যুবক ও তাঁর সহকর্মীরা। শুক্রবার রাতে ওই ঘটনাটি ঘটে। আহত আলমার্স কবীর নামে বারাসত-২ ব্লক, শাসনের ফলতি বেলিয়াঘাটা অঞ্চলের বাসিন্দা ওই যুবকের দাবি, কুড়ি হাজার টাকা নেওয়ার পরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। টাকা দিয়ে কোনও রকমে সেখান থেকে বেরিয়ে শনিবার ভোরে কবীর সোজা চলে যান শেক্সপিয়র সরণি থানায়। সমগ্র ঘটনা থানায় জানানোর পরে পুলিশ আহত কবীরকে বাইকে চাপিয়ে পার্ক সার্কাস স্টেশনে পৌঁছে দিয়ে যায় বলে দাবি তাঁর। সেখান থেকে ট্রেনে চেপে শনিবার সকালে বাড়ি ফেরেন ওই যুবক।

কবীর জানান, গত ১২ জুন তিনি ওই বেসরকারি জমিটিতে নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। মধ্যমগ্রামের একটি নিরাপত্তা সংস্থা ওই জমিটিরপাহারার দায়িত্বে রয়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরাও ওই সংস্থার কর্মী। ঘটনার কথা স্বীকার করে সংস্থার তরফে বাদল বিশ্বাস জানান, ওই যুবকদের সঙ্গে কথা বলা হবে। তার আগে কবীরের থেকেডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। যাতে তা থানায় জমা দিয়ে অভিযোগ দায়ের করা যায়।

কবীরের অভিযোগ, নতুন কাজে যোগ দেওয়ার পরে দিনকয়েক আগে তাঁর থেকে মদ্যপানের জন্য দু’হাজার টাকা চান কয়েক জন সহকর্মী। কবীরের কথায়, ‘‘বলেছিলাম, বেতন পেলে টাকা দেব। কিন্তু ওঁরা অপেক্ষা করতে রাজি ছিলেন না। দিনকয়েক ধরেই আমাকে গালিগালাজ করছিলেন। শুক্রবার রাতে ঘটনা চরমে পৌঁছয়।’’ যুবক জানান, ওই রাতে কয়েক জন সহকর্মী মদ্যপান করছিলেন। কবীরের উপরে তাঁরা চড়াও হন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘প্রথমে ওরা একপ্রস্ত মারধর করে।ঘিরে ধরে অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে থাকে। শাবল, ছুরি দেখিয়ে কেটে ফেলার ভয় দেখানো হয়। বেল্ট দিয়ে মারা হয়। বাড়তে থাকে টাকার চাহিদা। পরে আমায় একটা ঘরে আটকে রাখা হয়।’’

তাঁর পরিবারের অভিযোগ, কবীরকে বলা হয়েছিল, ৫০ হাজার টাকা না দিলে তাঁকে ছাড়া হবে না। শেষ পর্যন্ত এক আত্মীয়ের মাধ্যমে অনলাইনে ২০ হাজার টাকা দিয়ে রেহাই পান ওই যুবক। অভিযোগ, ফোনে যখন তিনি আত্মীয়দের থেকে টাকা চান, তখন তাঁকে জোর করা হয় বলতে যে তাঁর দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই টাকার দরকার।

ওই নিরাপত্তা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তেরা প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছেন, তাঁরা কবীরের থেকে টাকা পান। কবীর ধার নিয়েও টাকা শোধ দিচ্ছিলেন না। যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছেন ওই যুবক। বারাসত মেডিক্যাল কলেজের তরফে জানানো হয়েছে, ওই যুবকের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Lynching Colleagues Financial demand Alcohol
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy