—প্রতীকী ছবি।
মেয়ে মস্তিষ্কের টিউমারে আক্রান্ত হওয়ায় সর্বক্ষণ দুশ্চিন্তায় থাকতেন তিনি। শুক্রবার ভোর থেকে খোঁজ মিলছিল না তাঁর। কিছু ক্ষণ পরে পর্ণশ্রী থানা এলাকার শ্যামসুন্দরপল্লির একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হল সেই মহিলার দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম বেবি গুপ্ত (৪০)। এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ ওই মহিলাকে পুকুরে ভাসতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মহিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মেয়ের অসুস্থতার কারণে অবসাদে ভুগছিলেন বেবি।
বেবি আদতে ওয়াটগঞ্জের বাসিন্দা হলেও সম্প্রতি থাকছিলেন পর্ণশ্রী থানা এলাকার কালীপুরে। এ দিন তাঁর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় তৈরি হয় চাঞ্চল্য। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মহিলার পরনে ছিল সবুজ রঙের সালোয়ার, সাদা রঙের লেগিন্স। পায়ে ছিল গোলাপি চটি। দেহটি উপুড় হয়ে পুকুরে ভাসছিল। বেবির দেওর বান্টি গুপ্ত জানান, মহিলার পরিবারে আছেন তাঁর স্বামী, এক মেয়ে ও এক ছেলে। স্বামী চন্দ্রপ্রকাশ গুপ্তের খিদিরপুরে ডালের দোকান রয়েছে। ২১ বছরের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গুপ্ত মস্তিষ্কের টিউমারে আক্রান্ত। ভেলোরেও তাঁর চিকিৎসা করানো হয়েছে। মেয়ে অসুস্থ থাকায় বেবি মনমরা হয়ে থাকতেন।
মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে এ দিন ঘটনাস্থলে চলে আসে বেবির ছেলে প্রিয়াংশু গুপ্ত। খালসা ইংলিশ হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র প্রিয়াংশু কাঁদতে কাঁদতে বলল, ‘‘দিদির অসুস্থতা নিয়ে মা সব সময়ে চিন্তায় থাকত। বৃহস্পতিবার রাতে মা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। আমরা সকলে তখন ঘুমোচ্ছিলাম। সকালে উঠে দেখি, মা নেই। বাড়ির দরজা বাইরে থেকে তালা দেওয়া। চাবি রয়েছে দরজার কাছেই।’’
দেহ উদ্ধারের পরে বেলার দিকে ঘটনাস্থলে এসে বান্টি স্থানীয়দের জানান, সকাল থেকে তাঁর বৌদি নিখোঁজ। এখানে এক মহিলার দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে তিনি খোঁজ নিতে এসেছেন। স্থানীয় এক বাসিন্দার মোবাইলে মৃতার ছবি দেখে বেবিকে শনাক্ত করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy