—প্রতীকী চিত্র।
পরীক্ষা ছিল গত ১০ জুন। কিন্তু পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ড হাতে পেলেন তার পরের দিন, অর্থাৎ ১১ জুন! ‘কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট’ (সিইউইটি)-এর স্নাতকোত্তর পরীক্ষা দিতে গিয়ে এমনই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে কলকাতার এক ছাত্রকে। এর জেরে চলতি বছরে এখন তিনি কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না। পরিস্থিতি এমনই যে, তাঁর একটা বছর নষ্টও হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে তাঁর পরিবার। বিষয়টি জানিয়ে ইমেল করে অভিযোগও করেছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, সিইউইটি পরীক্ষার দায়িত্বভার রয়েছে ‘ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি’র (এনটিএ)উপরে। সোমবার রাত পর্যন্ত এনটিএ-র তরফে ইমেলের কোনও উত্তর আসেনি বলেও অভিযোগ। এ নিয়ে টুইট করা হলে সেখানেও কোনও উত্তর আসেনি।
বছর একুশের এই পড়ুয়ার নাম ঋতম সরকার। দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসিন্দা ঋতম সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজ থেকেচলতি বছরে মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে স্নাতক পাশ করেছেন। এর পরে তিনি ঠিক করেন, ‘কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট’ দিয়ে রাজ্যেরবাইরের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হবেন। তিনি জীবন বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি এবং ফরেন্সিক সায়েন্সে পরীক্ষার জন্য আবেদনপত্র পূরণ করেন। গত ৫ জুন অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করে দেখেন, ৬ জুন জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার কথা এবং তার সময় দেওয়া রয়েছে তাতে। কিন্তু বাকি পরীক্ষার তারিখ জানতে না পেরে তিনি এনটিএ-তে ইমেল করেন।
ঋতমের কথায়, ‘‘১১ জুন ইমেলের উত্তরে এনটিএ থেকে জানানো হয়, আমাকে রিভাইজ়ড অ্যাডমিট কার্ড পাঠানোহয়েছে। সেটা ডাউনলোড করেই দেখি, ১০ তারিখ মাইক্রোবায়োলজি পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে!’’ এরপরে তাঁর দাবি, ‘‘তিনটি বিষয়ে ফর্ম পূরণ করলেও আমি শুধু মাইক্রোবায়োলজি নিয়েই তৈরি হচ্ছিলাম। যে হেতু আমি এই বিষয়েই স্নাতক হয়েছি, তাইএটা নিয়েই ভবিষ্যতে পড়তে চাইছিলাম। কিন্তু এখন আর পড়ার সুযোগই রইল না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy