—প্রতীকী চিত্র।
বেহালায় বড়িশা হাই স্কুলের প্রাথমিক শ্রেণির ছাত্র সাত বছরের সৌরনীল সরকারের মৃত্যুর পর একঝাঁক পদক্ষেপ করে প্রশাসন। এ বার স্কুলের পুলকারে চলাচল করা পড়িয়াদের নিরাপত্তার জন্য উদ্যোগী হল পুলকার সংগঠন। শনিবার ‘বিড়লা অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড কালচারাল’-এ পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সভা আয়োজিত হয়। সেখানেই পুলকার চালকদের মানসিক চাপ কমাতে হল এক সচেতনতা শিবির।
ওই সচেতনতা শিবিরের অংশ নিয়েছিলেন, খড়্গপুর আইআইটির ভার্গব মৈত্র, মনোবিদ পূজা সেনগুপ্ত, ট্রাফিক ট্রেনিং স্কুলের প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী প্রমুখ। ভার্গব নিজের বক্তৃতায় দুর্ঘটনার জন্য গতিবেগকেই দায়ী করেন। গাড়ির গতি কম রেখে চালকেরা দুর্ঘটনা থেকে দূরে থাকতে পারেন বলেই মত তাঁর। মনোবিদ পূজা বাড়তি দায়িত্ব নিতে বলেছেন পুলকার মালিকদের। তাঁর কথায়, ‘‘পুলকার চালকেরা যাতে মানসিক ভাবে চাপমুক্ত হয়ে গাড়ি চালাতে পারেন, সে বিষয়ে নজর দিতে হবে মালিকদেরই। কারণ, চালকেরা যাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পান এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন, সেই ব্যবস্থা পুলকার মালিকদেরই করতে হবে।’’ একই সঙ্গে পূজা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র স্বপ্ননীল কুন্ডুর মৃত্যুর প্রসঙ্গও টেনেছেন। পুলকারের মধ্যে তুলনামূলক ভাবে বেশি বয়সের পড়ুয়ারা যাতে কম বয়সিদের সঙ্গে যাতে দুর্ব্যবহার না করে, সে দিকেও চালকদের খেয়াল রাখতে বলেছেন।
এই সচেতনতা শিবির প্রসঙ্গে পুলকার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ দত্ত বলেন, ‘‘কোভিড সংক্রমণের কারণে এই ধরনের সচেতনতা শিবির করা সম্ভব হয়নি। বেহালার দুর্ঘটনার পর এই শিবিরের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেড়ে গিয়েছে। আমরা দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে এই পদক্ষেপ করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy