প্রতীকী ছবি।
এটিএম কার্ডের মালিক রয়েছেন শহরের এক প্রান্তে। সেখানে তিনি ব্যস্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে। কিন্তু শহরের অন্য প্রান্তে তাঁরই এটিএম কার্ড ব্যবহার করে তুলে নেওয়া হল টাকা। তার আগে অবশ্য তাঁকে ফোন করে কেউ বা কারা ওই টাকা তুলে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি লেক থানা, লালবাজার এবং একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে জালিয়াতির এমন অভিযোগ দায়ের করেছেন কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের এক কনস্টেবল। কবীর মণ্ডল নামে ওই কর্মীর অভিযোগ, এটিএম কার্ডটি তাঁর কাছেই ছিল। অথচ, তিনি এসএমএস পেয়েছেন যে, কার্ড ব্যবহার করে পাঁচ বারে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৫০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
কবীরবাবু শনিবার জানান, খিদিরপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে তাঁর অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এটিএম কার্ডও ওই ব্যাঙ্কের। তিনি শুক্রবার ডিউটিতে ছিলেন। সেই সময়ে তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। এক ব্যক্তি জানান, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হবে। অভিযোগ, এর কিছু পরেই তাঁর মোবাইলে টাকা তুলে নেওয়ার মেসেজ আসে।
কবীর জানান, কাউকেই তিনি এটিএম কার্ডের পিন বলেননি। মোবাইলে কিংবা ইমেলে ‘ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড’ও কেউ চায়নি। ঘটনার পরেই তিনি ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জানা যায়, ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তোলা হয়েছে। এর পরে ওই পুলিশকর্মী লেক থানা এবং লালবাজারে অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, এটিএমের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে যে কায়দায় ফোন করে জানিয়ে দিয়ে ওই টাকা তোলা হয়েছে, তা অভিনব। পুলিশ ওই ফোন নম্বর ধরে দুষ্কৃতীদের খোঁজ শুরু করেছে। এর আগে শহরে তথ্য হাতিয়ে ‘ডুপ্লিকেট’ কার্ড তৈরি বা ‘ক্লোনিং’ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ক্ষেত্রেও কার্ডের প্রতিলিপি তৈরি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।
পুলিশ জানিয়েছে, জালিয়াতেরা এটিএম কার্ডের সঙ্গে ওই পুলিশকর্মীর ফোন নম্বর কী ভাবে পেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাধারণত এই কায়দায় এর আগে এটিএম থেকে টাকা তোলার অভিযোগ আসেনি। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy