—প্রতীকী চিত্র।
এলাকার এক অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা এবং তার প্রতিবাদ করায় তার বাবাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল দুই যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে, রহড়া এলাকার ঘটনা। অভিযোগ পেয়ে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে রহড়া থানার পুলিশ। দীর্ঘ দিন ধরেই স্থানীয় ওই দুই যুবক ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করছিল বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতের নাম সুমন দে। তার সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে, সব খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশকে ওই কিশোরী জানিয়েছে, বাবার সঙ্গে সে একা থাকে। পেশায় দিনমজুর তার বাবাকে কখনও রাতেও কাজে যেতে হলে মাঝেমধ্যে বাড়িতে একাই থাকতে হয় তাকে। অভিযোগ, মাস আটেক আগে এক রাতে ওই কিশোরীর বাবা কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই জল চাওয়ার অছিলায় বাড়িতে এসে কিশোরীকে বিরক্ত করে সুমন ও তার এক সঙ্গী। আরও এক দিন মত্ত অবস্থায় তারা জল চাইতে এলে আপত্তি জানায় কিশোরী এবং তাদের মুখের উপরে দরজা বন্ধ করে দেয়।
অভিযোগ, তার পর থেকেই ওই দুই যুবক আরও বেশি মাত্রায় তাকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। ওই কিশোরী রাস্তায় বেরোলেই তার পিছু নিত ওই দু’জন। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথেও পথ আটকে তাকে কটূক্তি করত। ওই কিশোরী বলে, ‘‘ওরা হাত ধরে টানাটানিও করত। ভয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম।’’ এর পরে গোটা বিষয়টি সে তার বাবাকে জানালে তিনি ওই যুবকদের ডেকে বারণ করলেও তারা কথা শোনেনি বলে অভিযোগ। দিন কয়েক পরে ফের একই ভাবে তাকে উত্ত্যক্ত করা শুরু হয়।
রবিবার বাড়িতে তালা দিয়ে এলাকার এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিল কিশোরী। কাজ থেকে ফিরে মেয়ের কাছে চাবি আনতে গিয়েছিলেন তার বাবা। পরে তাঁরা দু’জনে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়ে রাস্তার মধ্যেই সুমন ও তার এক সঙ্গী কিশোরীর হাত ধরে টানাটানি ও কটূক্তি করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। কিশোরী বাবা বলেন, ‘‘মেয়ে আমার পিছনে পিছনেই হেঁটে আসছিল। হঠাৎ ওরা অশ্লীল কটূক্তি করতে শুরু করে। মেয়ের চিৎকার শুনে দেখি, হাত ধরে টানছে। প্রতিবাদ করতে আমাকেও মারধর করে।’’ অভিযোগ, ওই ব্যক্তির পিঠে-বুকে কিল, চড়, ঘুষি মারা হয়। চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়েরা চলে এলে চম্পট দেয় অভিযুক্তেরা। এর পরে রহড়া থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করে কিশোরী ও তার বাবা। রাতেই সুমনকে পাকড়াও করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy