ফাইল চিত্র।
শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৬৫ বছরের এক প্রৌঢ়। সকালে গিয়েছিলেন শৌচাগারে। তার কিছু ক্ষণ পরে আচমকাই বিকট শব্দ। দেখা গেল, হাসপাতালের যে ভবনে ওই প্রৌঢ় ভর্তি ছিলেন, তারই চারতলায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের বাইরের অংশের মাঝে আটকে রয়েছেন তিনি!
দমকল এসে উদ্ধার করার পরে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে ওই রোগী মারা যান। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই প্রৌঢ়ের নাম পঞ্চানন হালদার। কল্যাণীর ওই বাসিন্দা গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আর জি করের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জরুরি বিভাগ যে ভবনে, তারই পাঁচতলায় ওই ওয়ার্ড।
সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ শৌচাগারে যান পঞ্চাননবাবু। এর খানিক ক্ষণ পরেই ভারী কিছু নীচে পড়ার শব্দে হকচকিয়ে যান কর্তব্যরত নার্স ও কর্মীরা। শৌচাগারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পঞ্চাননবাবু নেই এবং জানলার কাচ ভাঙা। তত ক্ষণে ওই ভবনের বাইরে থাকা লোকজনও বিকট শব্দে চমকে উঠে উপরের দিকে তাকিয়ে দেখেন, চারতলার কার্নিসের কাছে এসি-র ফাঁকে এক জন আটকে রয়েছেন। ঘটনার কথা শুনে ছুটে আসেন হাসপাতালের আধিকারিকেরাও।
খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। দমকলকর্মীরা উপরে উঠে পঞ্চাননবাবুকে উদ্ধার করে নীচে নামিয়ে আনেন। তখনই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জরুরি বিভাগে। চিকিৎসকেরা অনেক চেষ্টা করলেও কিছু ক্ষণের মধ্যেই প্রৌঢ় মারা যান।
কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, জানলা দিয়ে বেরিয়ে জলের পাইপ বেয়ে নীচে নামার চেষ্টা করতে গিয়েই পড়ে যান ওই রোগী। কিন্তু কেন তিনি জানলার কাচ ভেঙে নীচে নামছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। এই ঘটনাটি দুর্ঘটনা না আত্মহত্যা, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। হাসপাতালের এক আধিকারিকের কথায়, “বহু দিন ধরেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন ওই প্রৌঢ়। তা নিয়ে মানসিক অবসাদও তৈরি হয়েছিল। সেই অবসাদ থেকেই তিনি এমনটা ঘটিয়ে থাকতে পারেন।” ঘটনার পরে খবর পেয়ে আসেন মৃতের পরিজনেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy