এসএসকেএম হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।
সাত দিনের মধ্যে ছ’বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ওই সদ্যোজাতের জন্য চিন্তায় পড়েছিলেন চিকিৎসকেরাও। শেষে ওই একরত্তির ফুসফুসের অস্ত্রোপচার করে তাকে নতুন জীবনে ফেরাল এসএসকেএম। মঙ্গলবার বাড়ি ফিরে গিয়েছে সেই সদ্যোজাত।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত জায়গা থেকে ১৮ দিনের ওই সদ্যোজাতকে পিজিতে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শিশুটির অবস্থা এতটাই সঙ্কটজনক ছিল যে, সে শ্বাস নিচ্ছে কি না, সেটাই বোঝা যাচ্ছিল না। দ্রুত শিশুটিকে নিয়োনেটাল ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (নিকু) ভর্তি করে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। কিন্তু মাঝেমধ্যেই তার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা, রক্তচাপ নেমে যাচ্ছিল। এমন ভাবে সাত দিন চলার মধ্যেই ছ’বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় শিশুটির।
নিয়োনেটোলজি বিভাগের চিকিৎসকেরা দল তৈরি করে একরত্তির চিকিৎসা শুরু করেন। ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হয়ে স্তন্যপান শুরু করে সে। ওজন কিছুটা বাড়ার পরে বুকের সিটি স্ক্যান করে দেখা যায়, জন্মগত ভাবে ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে ওই একরত্তির। যাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয়, ‘কনজেনিটাল সিস্টিক অ্যাডিনোম্যাটয়েড ম্যালফরমেশন’। শিশুটির অস্ত্রোপচার করা, সদ্যোজাতদের শল্য চিকিৎসক দীপঙ্কর রায় জানাচ্ছেন, জন্ম থেকে তার ফুসফুসে প্রচুর ছোট ছোট টিউমার হয়েছিল। সময়ের সঙ্গে সেগুলি মিলে বিশাল আকার ধারণ করেছিল। সংক্রমণ হয়ে ওই একরত্তি সেপসিসে আক্রান্ত হয়েছিল।
স্থিতিশীল হওয়ার পরে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন দীপঙ্করেরা। দিন দশেক আগে তিনি ও তাঁর দল প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করে ফুসফুসের উপর থেকে ওই মাংসপিণ্ড বাদ দেন। ৩৯ দিন পরে ওই একরত্তিকে ছুটি দেওয়া হল। দীপঙ্কর জানাচ্ছেন, সপ্তাহখানেক আগে সাত দিন বয়সের একটি শিশু রক্তবমির সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। পরীক্ষায় দেখা যায়, ফুসফুসে বড় টিউমারের কারণে সেখান থেকে রক্ত চলে আসছে পেটে। সেটিও বাদ দিয়ে খিদিরপুরের ওই কন্যাসন্তানকে গত সপ্তাহে ছাড়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy