ছবি: সংগৃহীত।
পথ চলা শুরু হয়েছিল বছর দুয়েক আগে। ঝাড়গ্রামের এক প্রত্যন্ত লোধা-শবর গ্রামে সকলের মধ্যে শিল্প-সত্তার উন্মেষ ঘটাতে ২০১৮ সালে সেখানকার বাসিন্দাদের নিয়ে ‘খোয়াবগাঁ’র স্বপ্ন বোনা শুরু করেছিলেন শিল্পী মৃণাল মণ্ডল। ধীরে ধীরে গত দু’বছরে গ্রামবাসী এবং অন্য শিল্পীদের নিয়ে তিনি রাঙিয়ে তুলেছেন ‘খোয়াবগাঁ’ লালবাজারের প্রায় প্রতিটি বাড়ির দেওয়াল। গ্রামবাসীদের স্বনির্ভর করতে নিয়মিত হচ্ছে নানা কর্মশালাও। জঙ্গলমহলের সেই প্রত্যন্ত গ্রামের কথা এ বছর ফুটে উঠেছে দক্ষিণেশ্বরের একটি পুজোমণ্ডপে।
দক্ষিণেশ্বর কিশোর সঙ্ঘের পুজোর এ বারের থিম ‘খোয়াবগাঁ’। ঝাড়গ্রামের ‘খোয়াবগাঁ’য় বিভিন্ন বাড়ির দেওয়ালে যে ভাবে শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলেছেন মৃণাল ও তাঁর সহশিল্পীরা, পুজোর মণ্ডপেও রয়েছে তার প্রতিচ্ছবি। এই মণ্ডপের কথা ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
কিশোর সঙ্ঘের মণ্ডপের ওই শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত আছেন হীরক দাস। তিনি বলছেন, ‘‘ইন্টারনেটে খোয়াবগাঁর কথা জানতে পেরে আগ্রহী হই। ওই গ্রাম থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই মণ্ডপ সাজিয়েছি।’’ ঝাড়গ্রামের লালবাজার গ্রামকে ‘খোয়াবগাঁ’-এ রূপান্তরিত করার পিছনে রয়েছে গ্রামের কচিকাঁচারাও। শিল্পীদের সঙ্গে তারাও রাঙিয়েছে দেওয়াল। তেমনই দক্ষিণেশ্বরের ওই পুজোমণ্ডপের দেওয়াল ভরিয়েছে এলাকার বহু খুদে শিল্পী।
‘চালচিত্র অ্যাকাডেমি’ নামে একটি সংস্থার কর্ণধার মৃণাল। তাঁদের প্রচেষ্টা এ ভাবে বৃহত্তর পরিধিতে আমজনতার সামনে উঠে আসায় খুশি তিনি। তবে তাঁর বক্তব্য, পুজো কমিটি বা মণ্ডপশিল্পী যদি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন, তা হলে তাঁরা হয়তো সেই কাজে আরও কিছু শিল্প-ভাবনা যোগ করতে পারতেন। মণ্ডপে প্রকৃত ‘খোয়াবগাঁ’র উদ্যোগ সম্পর্কে উল্লেখ থাকলেও ভাল হত বলে মনে করছেন মৃণাল।
এ ব্যাপারে কিশোর সঙ্ঘের পুজোর তরফে সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা ওই গ্রামবাসীদের সাফল্যের কথা মণ্ডপসজ্জার মাধ্যমে তুলে ধরতে চেয়েছি। শীঘ্রই ব্যানার দিয়ে ঝাড়গ্রামের খোয়াবগাঁর কর্মকাণ্ডের কথা মণ্ডপে রাখার ব্যাপারেও ভাবছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy