—প্রতীকী চিত্র।
প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ হওয়ার আগেই এক অটোচালক অন্য এক মহিলাকে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন বলে অভিযোগ। সোমবার দুপুরে বাগুইআটি থানা এলাকার রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা ওই অটোচালকের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মহিলার মুখে অ্যাসিড ছোড়ারও অভিযোগ উঠল। মহিলা বাধা দিতে গেলে অ্যাসিড পড়ে সঞ্জীব দে নামে ওই অটোচালকের শরীরেও। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁরা দু’জনেই ভর্তি। মহিলা সঞ্জীবের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
ওই মহিলা জানান, ১৫ বছর আগে সঞ্জীব তাঁকে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়নি। মহিলার দাবি, আট বছর পরে তিনি জানতে পারেন, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ হয়নি সঞ্জীবের। মহিলার কথায়, ‘‘তার পর থেকেই আমাদের মধ্যে অশান্তি চলছিল। আমি অবশ্য পুলিশকে বিষয়টি জানাতে চাইনি আরও অশান্তি এড়াতে। আমি গত সাত-আট মাস ধরে সল্টলেকে থাকছিলাম। সঞ্জীব ফোনে কথা বলত। আজ আমাকে রবীন্দ্রপল্লির বাড়িতে ফিরতে বলে।’’
মহিলার অভিযোগ, তিনি বাড়ি পৌঁছতেই ঝগড়া শুরু হয়। রান্নাঘরে একটি মগে অ্যাসিড রাখা ছিল। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে সঞ্জীব মারধর করে। এর পরে মুখে অ্যাসিড ছোড়ে। আমি বাধা দিলে ওর গায়েও অ্যাসিড গিয়ে পড়ে।’’ চিৎকারে বেরিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা। সঞ্জীবকে ধরে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। মহিলা জানান, তাঁর ডান চোখে খুব যন্ত্রণা রয়েছে।
আপাতত সঞ্জীবকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকা থেকেই সে অ্যাসিড সংগ্রহ করেছিল বলে অনুমান পুলিশের। তবে মহিলা জানিয়েছেন, শৌচাগার সাফাইয়ের জন্য অ্যাসিড রাখা ছিল। এলাকায় কি অ্যাসিড বিক্রি হচ্ছে? জবাবে বিধাননগর পুরসভার পুরপ্রতিনিধি মণীশ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি যত দূর জানি, শৌচাগার সাফাইয়ের অ্যাসিড বিক্রিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। তা-ও আমি খোঁজ নেব। হার্ডওয়্যারের দোকানে অ্যাসিড বিক্রি হয় বলেই শুনেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy