ফাইল চিত্র।
‘শিক্ষা মানে শুধু যেন জ্ঞান অর্জন না হয়। তা যেন মানুষের বিভিন্ন ক্ষমতার দিকগুলিও খুলে দিতে পারে।’— বহু বছর আগে এমনই কথা বলেছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মারিয়া মন্তেসরি। শিশুদের শিক্ষার বিষয়ে তাঁর দেখানো পথ আজও প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করেন শিক্ষাবিদেরা।
মারিয়া মন্তেসরির সেই দেখানো পথ কী ভাবে অনুসরণ করা যায়, সে কথাই বারবার উঠে এল হিন্দুস্থান পার্কে একটি প্লে স্কুলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। শনিবার ওই শিক্ষাবিদের ১৪৯তম জন্মদিনে কলকাতার এক হোটেলে সেই স্কুলের উদ্বোধন করেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়। স্কুলের অধ্যক্ষা আকাঙ্ক্ষা কৌর জানান, এক জন মানুষের চরিত্র গড়ে ওঠে শিক্ষার হাত ধরে। সেটাই পরে দেশ গড়ার কাজে লাগে। আর তাই একটি শিশু হামাগুড়ি দেওয়া ছেড়ে যখন প্রথম দাঁড়াতে শেখে, তখনই থেকেই সে শিখতেও শুরু করে। আকাঙ্ক্ষা বলেন, ‘‘জীবনের প্রথম স্কুল নিজের বাড়ি। সেখানে শিশুরা যা শোনে ও যা দেখে তা শিখে নেয়। এর পরে প্লে স্কুল একটি শিশুর মধ্যে দেশ গড়ার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কাজটা করে।’’
‘একটি শিশুর মধ্যে থাকা সুপ্ত প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলতে হবে, পরে সেটাই সারা বিaশ্বে ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম হবে’— মারিয়া মন্তেসরির এই কথার সূত্র ধরেই শিক্ষাবিদ তথা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইসরি কাউন্সিলের সদস্য মীনাক্ষী অটল জানান, এখন দেখা যায় ছোট সংসারে বাচ্চার সঙ্গে কথা বলার লোক কম। ফলে শিশুটি কী চায়, সে কীসে পারদর্শী তা অজানাই থেকে যায়। আর বাবা-মা নিজেরা ব্যস্ত থাকায় সন্তানের হাতে মোবাইল ধরিয়ে দিচ্ছেন। তাতে শিশুটির কথা বলার শিক্ষায় ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। তাঁর মতে, বর্তমানে প্রযুক্তিকে শিক্ষার প্রয়োজন। কিন্তু তার মাধ্যমে কী ভাবে শিশুটির সৃষ্টিশীলতার বিকাশ ঘটবে সেটাই মূলত দেখা দরকার। শিশুমনের বিকাশ নিয়ে এ দিন বক্তব্য রাখেন সমাজসেবী অলকানন্দা রায়-সহ অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy