যাদবপুরে ওই আবাসনের সামনে হাজির হয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। (ইনসেটে নিধির কুণ্ডু) নিজস্ব চিত্র।
ফ্ল্যাটের দরজার বাইরে গত কয়েকদিন ধরে জমছিল খবরের কাগজ। লোহার গেট আধ খোলা। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুর্গন্ধও বের হচ্ছিল। প্রতিবেশীর সন্দেহ হওয়ায় আত্মীয়দের খবর দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সাতসকালে যাদবপুরের বিজয়গড়ের ওই আবাসনে ফ্ল্যাটের চাবি খুলে এক ব্যক্তির পচাগলা প্লাস্টিক জড়ানো দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা।
নিহত ব্যক্তির নাম নিধির কুণ্ডু। তিনি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরে। একাই থাকতেন ওই ফ্ল্যাটে। তাঁর প্রতিবেশী ইন্দিরা দাস জানিয়েছেন, গত শনিবার রাতে তাঁকে দেখেছিলেন তিনি। নিধির নিজের জন্য রুটি কিনতে বেরিয়েছিলেন। তখনই তাঁর সঙ্গে শেষ বার দেখা হয় তাঁর। মঙ্গলবার অবশ্য নিধিরের আত্মীয়দের খবর দেন পাশের ফ্ল্যাটের এক পড়শি।
মঙ্গলবার খবর পেয়েই যাদবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরে লালবাজারের গোয়েন্দারাও আসেন তদন্তে। পুলিশ জানিয়েছে, ফ্ল্যাটের দরজায় চাবি দেওয়া ছিল। ভিতরে চাদর-কম্বল এবং প্লাস্টিকে মোড়া ছিল নিধিরের দেহ। চাদরে রক্তের দাগও ছিল। প্রাথমিক তদন্তে তাই ঘটনাটিকে খুনের ঘটনা বলেই অনুমান করছেন গোয়েন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, নিধিরের ঘর থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনের মতো দামি জিনিসও নিখোঁজ ছিল।
নিহত ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে কি না, তাঁর দেহ প্লাস্টিকে জড়ালো কে বা কারা, তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন সরকারি চাকুরে নিধিরের দশ বছর আগেই পত্নীবিয়োগ হয়। বর্তমানে আত্মীয় বলতে এক ভাই, এক বোন এবং তাঁদের পরিবার। এঁদের প্রত্যেকের কাছেই নিধিরের ফ্ল্যাটের চাবি ছিল। সেই চাবি খুলেই তাঁরা মঙ্গলবার নিধিরের ঘরে ঢোকেন বলে পুলিশকে জানিয়েছে আত্মীয়রা। পুলিশ নিধিরের ঘরের সামনে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy