মৃতের নাম মহম্মদ আফতাব আনসারি (২৪)। প্রতীকী ছবি।
ঘুম থেকে উঠে গ্রিল কারখানার ভিতরে জামাইবাবুকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্কে শিউরে উঠেছিল নাবালক শ্যালক। অনেক বার ডাকাডাকির পরেও তাঁর সাড়াশব্দ না পেয়ে চিৎকার শুরু করে সে। এর পরে দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই যুবককে। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে, আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিটের ঘটনা। মৃতের নাম মহম্মদ আফতাব আনসারি (২৪)। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পরেই বেপাত্তা কারখানার আর এক জন কর্মী মহম্মদ সাব্বির। আফতাবকে খুনের ঘটনায় তিনি জড়িত কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করার ফলে মৃত্যু হয়েছে। সাব্বিরের খোঁজ শুরু করেছে লালবাজার। আজ, শুক্রবার দেহের ময়না তদন্ত করা হবে।
আফতাবের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে। বছর দুয়েক ধরে কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিটে একটি পাঁচতলা বাড়ির দোতলায় গ্রিল কারখানায় কাজ করছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গেই থাকত বছর পনেরোর শ্যালক। মাস চারেক আগে সেখানে কাছে যোগ দেন নালন্দার বাসিন্দা মহম্মদ সাব্বির। কাজ শেষ হয়ে গেলে তিন জন রাতে কারখানাতেই ঘুমোতেন। এ দিন আফতাবের শ্যালক ঘুম থেকে উঠে জামাইবাবুকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, সাব্বির প্রায়ই মদ্যপান করতেন। এর জন্য অনেকের কাছ থেকে টাকা ধার করতেন। সপ্তাহখানেক আগে কারখানার মালিকের কাছে টাকা ধার চান সাব্বির। কিন্তু তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। তখন মালিকের পক্ষ নিয়েছিলেন আফতাব। সেই রাগেই সাব্বির এ দিন ভোরে আফতাবকে খুন করেছেন বলে সন্দেহ পুলিশের। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কথা বলা হচ্ছে স্থানীয়দের সঙ্গেও। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে। একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy