মহম্মদ কালিম এবং রেশমা খাতুন। —ফাইল চিত্র।
দিন দুয়েক আগে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন স্বামী। রবিবার সকালে এক বন্ধুর মোটরবাইক নিয়ে দু’জনে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মিনিবাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল ওই দম্পতির। পশ্চিম বন্দর থানার সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড এবং সিক লেনের সংযোগস্থলে ওই দুর্ঘটনা ঘটে৷ পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম মহম্মদ কালিম (২০) এবং রেশমা খাতুন (১৯)। মিনিবাসটির চালককে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গার্ডেনরিচ এলাকার ফতেপুর ভিলেজ রোডের বাসিন্দা কালিম দোকানে দোকানে জামাকাপড় পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন। মাস দুয়েক আগে খিদিরপুরের বাসিন্দা রেশমার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। শুক্রবার সকালে স্ত্রীকে নিয়ে খিদিরপুরে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন কালিম। এ দিন বেলার দিকে রেশমাকে পিছনে বসিয়ে মোটরবাইক চালিয়ে ফিরছিলেন তিনি। সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোডে মেটিয়াবুরুজ-শ্যামবাজার রুটের একটি মিনিবাস কালিমের মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। ধাক্কার অভিঘাতে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই বাইক থেকে বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে পড়েন। তাঁদের মাথায় আঘাত লাগে। স্থানীয়েরা ওই দু’জনকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে জানান। পরে রামনগরের কাছে মিনিবাসটিকে আটক করে পশ্চিম বন্দর থানার পুলিশ। তার চালককে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের ফেটাল স্কোয়াড।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই দম্পতির কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। বাইকের গতিও ছিল বেশি। বেপরোয়া গতিতে মিনিবাসের বাঁ দিক দিয়ে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময়ে কোনও ভাবে ধাক্কা লেগে যায়। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘মিনিবাসটি ধাক্কা দিয়েই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। দু’জনে রাস্তার মাঝেই পড়ে ছিলেন। দীর্ঘ সময় পরেও পুলিশ না আসায় আমরাই ওদের একটি গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করি। সেই সময়ে দু’জনের কারও জ্ঞান ছিল না।’’ মৃত যুবকের মা কামরুন্নিসা খাতুন বলেন, ‘‘হাসপাতাল থেকে ফোন করে আমাদের আসতে বলা হয়। এখানে এসে শুনি, দু’জনেই মারা গিয়েছে। কী ভাবে হল, জানি না।’’
দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় নজরদারির পাশাপাশি বন্দর এলাকার বেহাল রাস্তা নিয়ে সরব হয়েছেন। বর্ষার শুরুতেই সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোডের একাধিক জায়গায় গর্ত তৈরি হওয়ায় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁদের দাবি। এ দিন সেখানে গিয়ে দেখা গেল, ঘটনাস্থলের কাছেই রাস্তার মাঝে গর্ত। তার উপর দিয়েই চলছে পর পর গাড়ি। এমনকি, দুর্ঘটনার পরেও বিনা হেলমেটে একের পর এক মোটরবাইক ওই পথে যাতায়াত করলেও নজর নেই কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের। লালবাজারের এক কর্তা যদিও বলেন, ‘‘সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে বাইকের গতি বেশি ছিল বলে মনে হচ্ছে। এলাকায় নজরদারির কথাও বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy