Advertisement
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
Robber

ডাকাতিতে অভিযুক্ত সুবোধ-ঘনিষ্ঠকে বেউর জেল থেকে আনা হল এ রাজ্যে

সূত্রের খবর, বিহারের বেউর জেলে বন্দি ওই দুষ্কৃতীকে বৃহস্পতিবার সেখান থেকে এ রাজ্যে নিয়ে আসে সিআইডির একটি দল। ওই দিনই তাকে বর্ধমানের আদালতে তোলেন সিআইডি-র গোয়েন্দারা।

বিচারক রাজীবকে পাঁচ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

বিচারক রাজীবকে পাঁচ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। —প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:৩৬
Share: Save:

বিহারের দুষ্কৃতী সুবোধ সিংহের একদা ঘনিষ্ঠ, জেলবন্দি আসামি রাজীবকুমার সিংহকে নিজেদের হেফাজতে নিল সিআইডি। সূত্রের খবর, বিহারের বেউর জেলে বন্দি ওই দুষ্কৃতীকে বৃহস্পতিবার সেখান থেকে এ রাজ্যে নিয়ে আসে সিআইডির একটি দল। ওই দিনই তাকে বর্ধমানের আদালতে তোলেন সিআইডি-র গোয়েন্দারা। বিচারক রাজীবকে পাঁচ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

রাজীবের বিরুদ্ধে জেল থেকেই রাজ্যের একাধিক ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন সিআইডির গোয়েন্দারা। ওই দিন রাতেই রাজীবকে ভবানী ভবনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে শুক্রবার তাকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। এর আগে জুলাই মাসে সুবোধকে এ রাজ্যে নিয়ে এসেছিল সিআইডি। তার বিরুদ্ধেও জেলে বসে এ রাজ্যে খুন, তোলাবাজি-সহ ডাকাতির একাধিক অভিযোগ ছিল।

সিআইডি সূত্রের খবর, ২০২২ সালে বর্ধমানে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সাত দুষ্কৃতী ওই ব্যাঙ্কে প্রবেশ করে ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। প্রথমে জেলা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে তদন্তভার নেয় সিআইডি। গোয়েন্দারা তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারেন, বিহারের জেলে বন্দি রাজীব ওই ডাকাতির পিছনে রয়েছে। তার নির্দেশেই বিহারের দুষ্কৃতীরা ওই ডাকাতি করেছে। গত দেড় বছর ধরে সিআইডির তরফে একাধিক বার আদালতের নির্দেশে রাজীবকে এ রাজ্যে আনার চেষ্টা করা হলেও তাতে সাফল্য মেলেনি।

গত মাসে বর্ধমান আদালত ফের তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। তার ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার রাজীবকে বর্ধমানে নিয়ে আসা হয় বেউর জেল থেকে। এর আগে ২০১৮ সালে কলকাতা পুলিশ বেনিয়াপুকুর থানা এলাকায় একটি ডাকাতির ঘটনায় রাজীবকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে এসেছিল।

সিআইডি জানতে পেরেছে, বর্ধমান ছাড়া হীরাপুর এবং ব্যারাকপুরে দু’টি ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত রয়েছে রাজীব। এ ছাড়া, তার বিরুদ্ধে বিহারে একাধিক ডাকাতি এবং খুনের মামলা রয়েছে। যা জেলবন্দি হওয়ার পরেও তার নির্দেশে তার গোষ্ঠীর লোকেরা করেছিল বলে অভিযোগ।

সিআইডি-র এক তদন্তকারী অফিসার জানান, রাজীব এক সময়ে সুবোধের ডান হাত ছিল। সুবোধের হয়ে সে কাজ করত। ২০১৮ সালে গ্রেফতার হয়ে জেলে যাওয়ার পর থেকে সুবোধের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় রাজীবের। জেলে বসেই সে ভিন্ন দল তৈরি করে ব্যাঙ্ক এবং স্বর্ণ ঋণ প্রদানকারী সংস্থায় ডাকাতি করাতে থাকে।

অন্য বিষয়গুলি:

CID Robbery
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy