ফাইল চিত্র।
এক সপ্তাহের মধ্যে দু’বার চলন্ত ট্রেনের সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেও প্রাণে বেঁচে গেলেন ৯৩ বছরের এক বৃদ্ধ!
শুক্রবার সকাল ৯টা ৪০। বারাসত-হাসনাবাদ শাখার হাড়োয়া স্টেশনে আপ হাসনাবাদ লোকাল তখন এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে সবে ঢুকছে। যাত্রীরা ছুটছেন ট্রেন ধরার জন্য। এমন সময়ে ওই প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো এক বৃদ্ধ আচমকাই লাফিয়ে পড়েন লাইনের উপরে। ‘গেল গেল’ চিৎকার ওঠে যাত্রীদের মধ্যে। বৃদ্ধকে লাফাতে দেখে চালক কোনও মতে ট্রেনের ব্রেক কষেন। ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। দেখা যায়, ট্রেনের চাকায় জড়িয়ে গিয়েছেন বৃদ্ধ। ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলেন যাত্রীদের অনেকেই। তার পরেই দেখা যায় অবিশ্বাস্য এক দৃশ্য!
ওই প্ল্যাটফর্মেই চায়ের দোকান সঞ্জয় মণ্ডলের। তিনি জানান, ট্রেনটি বৃদ্ধের উপর দিয়ে চলে যায় প্রায় ৫০ ফুট। ট্রেন থামার পরে দেখা যায়, এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম ও লাইনের মাঝে দু’ফুট ফাঁকা জায়গায় অক্ষত অবস্থায় পড়ে আছেন ওই বৃদ্ধ। রেলের গার্ড তত ক্ষণে নেমে চলে এসেছেন বৃদ্ধকে উদ্ধার করতে। স্থানীয় লোকজন ও যাত্রীরা ট্রেনের নীচে ঢুকে বৃদ্ধকে বার করে আনেন। তাঁর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
ওই ঘটনার পরে ট্রেনের চালক ভবিষ্য কুমারকে সবাই বাহবা দেন। কারণ, তাঁরই চেষ্টায় লাইনে ঝাঁপ দিয়েও বেঁচে যান ওই বৃদ্ধ। হাড়োয়া রোড স্টেশনের ম্যানেজার প্রণব মণ্ডল এ দিন বলেন, ‘‘বলতেই হয় যে, ওই বৃদ্ধ বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছেন। সাধারণ যাত্রীরা আমাকে জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধ দিন সাতেক আগেও ট্রেনের সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। দুই যুবক তা বুঝতে পেরে
তাঁকে বাঁচান।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধের বাড়ি দেগঙ্গায়। তাঁর ছেলে এ দিন জানান, বাবা দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ু ও মস্তিষ্কের সমস্যায় ভুগছেন। মানসিক ভারসাম্যও হারিয়েছেন। কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। প্রায়ই ঘর থেকে বেরিয়ে চলে যান তিনি। ছেলের কথায়, ‘‘ঘরে তো আর বাবাকে বেঁধে রাখতে পারি না।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy