প্রতীকী ছবি।
প্রথমে মারধর, তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় জোড়াবাগানের ৯ বছরের বালিকাকে। তবে পুলিশি সূত্রে খবর, তারপরও নিশ্চিন্ত হতে পারেনি অপরাধী। বালিকার গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ দিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। বৃহস্পতিবার সকালে জোড়াবাগান থানা এলাকায় উদ্ধার হওয়া নাবালিকার মৃতদেহ পরীক্ষা করে সামনে এসেছে এই তথ্য।
যে স্থান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়, সেই স্থান থেকে ওই নাবালিকার কয়েকটি দাঁত উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় একটি রক্তমাখা ছুরিও। তবে খুনের আগে যৌন নির্যাতন হয়েছিল কি না, তা বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তদন্তকারীরা।
বুধবারই মামারবাড়িতে দিদার কাছে ঘুরতে এসেছিল সে। বালিকার বাড়ি শোভাবাজারে। পরিবার জানিয়েছে, ওইদিন রাত থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। জোড়াবাগান থানায় তার পরিবার নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরিও করে। তার কয়েক ঘণ্টা পরই এলাকার এক বহুতল থেকে খুঁজে পাওয়া যায় ওই বালিকার মৃতদেহ। ছাদে ওঠার সিঁড়িতে পরেছিল দেহটি। গায়ে কোনও পোশাক ছিল না বলেও দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরিবারের অভিযোগ, যৌন নির্যাতনের পর খুন করা হয়েছে বালিকাকে।
বৃহস্পতিবার সকালের এই ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে জোড়াবাগান থানা এলাকায়। অপরাধীকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শশী পাঁজা। পরে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মুরলী ধর (অপরাধ দমন শাখা)ও পৌঁছে যান ওই এলাকায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জোড়াবাগান থানার পুলিশ ছাড়াও ফরেনসিক দলের প্রতিনিধিরা আসেন। অপরাধীকে খুঁজে বের করতে আনা হয় প্রশিক্ষিত কুকুরের দল। যদিও বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত অপরাধী ধরা পড়েনি।
নিহত বালিকাটির পরিবারের পাশাপাশি পুরসভার স্থানীয় কো-অর্ডিনেটরও অভিযোগ করেন, যৌন নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধীকে ধরতে প্রশিক্ষিত কুকুরের দলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এলাকায় কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না বলে অপরাধীর গতিবিধি বুঝতে পারছিলেন না তদন্তকারীরা। তবে গোয়েন্দা কুকুরেদের দেখা গিয়েছে, বার বার রবীন্দ্র সরণিগামী একটি রাস্তায় যেতে। এই রাস্তাটিতে দু’টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে বলে পুলিশি সূত্রে খবর। ক্যামোরার ফুটেজ দেখে অপরাধী কোন পথে পালিয়েছে, তা বোঝার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy