ফাইল চিত্র।
জলে জমেছে শ্যাওলা। তাই তা পরিষ্কার করতে সুভাষ সরোবরের জলে ছ’টন চুন ঢালতে চলেছে কেএমডিএ। ওই সংস্থা সূত্রের খবর, জল পরিষ্কার রাখতে আপাতত মোট চুনের অর্ধেক পরিমাণ কয়েক দিনের মধ্যেই জলে দেওয়া হবে। বাকি অর্ধেক চুন সারা বছর ধরে জলে দেওয়া হবে। এ ছাড়া জলে দেওয়া হবে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেটও।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, মাস দু’য়েক আগে সুভাষ সরোবরে মাছ মারা যাওয়ার পরে জলের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ ওঠে, জলদূষণের কারণেই এই ঘটনা। মৎস্য দফতরর বিশেষজ্ঞদের একাংশও জানান যে, জলে অক্সিজেনের অভাব হয়েছে বলেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার পরেই রাজ্য পরিবেশ দফতরকে দিয়ে কেএমডিএ ওই দলের নমুনা পরীক্ষা করায়।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পরিবেশ দফতরের দেওয়া রিপোর্টে অবশ্য বলা হয়েছে যে, সুভাষ সরোবরের জলে অক্সিজেনের কোনও ঘাটতি নেই। এমনকি, জলে ক্ষার ও অম্লত্বের ভারসাম্যও ঠিকঠাকই রয়েছে। তবে জলের উপরিভাগে শ্যাওলার সবুজ আস্তরণ পড়ে গিয়েছে। তাই জল দূষিত না হলেও শ্যাওলার কারণে মাছ জলতলের উপরিভাগে উঠতে পারছে না। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, শ্যাওলার কারণে জলের উপরিভাগে অক্সিজেনের ঘাটতি থাকতে পারে। তাই হয়তো মাছেরা জলের উপরিভাগে এসে অক্সিজেনের অভাবে মারা গিয়েছিল। এ বার তাই সেই শ্যাওলার আস্তরণকে সরিয়ে দিতে চুন ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেএমডিএ-কে।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, সুভাষ সরোবরের মোট আয়তন প্রায় ১০০ একর। তার মধ্যে ৪০ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে এই জলাশয়। সেই জলাশয় রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাঙ্গলার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংস্থা। তার সদস্য সুব্রত সেন বলছেন, ‘‘এ বছরে মাছ ধরার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে। প্রতি বছর যে পরিমাণ মাছ ওঠে, এ বারে তার পরিমাণ অনেক কম হচ্ছে। কারণ জলের উপরিভাগে মাছ আসছে না। শ্যাওলা বেশি আছে ফলেই হয়তো এমন ঘটছে। বিষয়টি কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy