ফাইল চিত্র।
হাওড়ার শালিমারে রঙের কারখানায় আগুন লেগে জখম কর্মীদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা অতি সঙ্কটজনক বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। ২৭ বছরের তপন দেশাই ও ৫৭ বছরের উত্তম দাস এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারের ‘ডিজ়াস্টার জ়োন’-এ চিকিৎসাধীন। সঙ্কটজনক আরও এক জন ভর্তি আছেন বাইপাসের রুবি মোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এ ছাড়া একবালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আরও ১৩ জন কর্মী ভর্তি রয়েছেন বলে খবর। বাইপাসের অন্য এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কারখানার এক পদস্থ কর্তাকে।
এসএসকেএম সূত্রের খবর, তপন ও উত্তমের চিকিৎসায় ইমার্জেন্সি মেডিসিন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে একটি দল গড়া হয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, উত্তমের দেহের ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তাঁর শরীরের পিছনের অংশ ঝলসে যাওয়ায় বিষয়টি এক দিক থেকে কম বিপদের হলেও শারীরিক স্থূলতা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস ও অন্যান্য পুরনো রোগের কারণে অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে রয়েছে। তপনের পুরনো রোগের সমস্যা না থাকলেও শরীরের প্রায় ৮৫ শতাংশ ঝলসে যাওয়ায় তিনি অতি সঙ্কটজনক অবস্থায় আছেন। বাইপাসের একটি হাসপাতালে কারখানার যে পদস্থ কর্তা ভর্তি রয়েছেন, সেই অশোককুমার বর্মার অবস্থা স্থিতিশীল।
একবালপুরের বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রের খবর, চিকিৎসাধীনদের মধ্যে তিন জন আইসিইউ-তে থাকলেও তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল। বুধবার বিকেলে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তাঁদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। প্লাস্টিক সার্জেন অনুপম গোলাসের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল বৃহস্পতিবার আহতদের ওটি-তে নিয়ে গিয়ে নিয়মিত ড্রেসিং করেছেন।
আইসিইউ-তে যাঁরা ভর্তি আছেন, তাঁদের নাম বিমান সামন্ত, রাজেশকুমার পাসি ও রবার্ট টমসন। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বাসিন্দা বিমানের কাকা নারায়ণ সামন্ত বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আইসিইউ-তে ঢুকেই দেখি, ভাইপো যন্ত্রণায় ছটফট করছে। পিঠের দিকে চামড়া উঠে সাদা অংশ বেরিয়ে এসেছে। হাত দুটোয় ব্যান্ডেজ বাঁধা ছিল।’’ অন্য দুই রোগী রাজেশকুমার পাসি ও রবার্ট টমসনের হাত ও পিঠের দিকটা পুড়ে গিয়েছে। রবার্টের দাদা অ্যালফ্রেড বলেন, ‘‘সকালে ভাইয়ের অপারেশন হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা যথেষ্ট নজরদারিতে রেখেছেন। ওর দুটো হাত ও পিঠের দিকটা পুড়ে গিয়েছে।’’ অ্যালফ্রেড জানান, তাঁর ভাই দীর্ঘদিনের কর্মী। সে দিন কারখানা থেকে বেরিয়ে আসার সময়ে ঝলসে যান তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কর্মীরা জানান, যাবতীয় চিকিৎসার খরচ কারখানার তরফে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy