প্রতীকী ছবি।
আত্মীয়ের সৎকারের কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে যশোর রোডে একটি মালবাহী গাড়ি উল্টে মৃত্যু হল তিন ব্যক্তির। ঘটনায় আহত হয়েছেন ১১ জন।
সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে যশোর রোডের মাইকেলনগরে। ঘটনার পরে আহতদের দ্রুত বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিন জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। মৃতেরা হলেন রাজু সাউ (২২), রামপদার্থ সাউ (৫০) এবং অরুণ সাউ (৪৭)।
পুলিশ জানায়, মতিলাল সাউ নামে এক ব্যক্তির শেষকৃত্য সেরে রাত ১টার কিছু পরে কলকাতার দিক থেকে একটি মালবাহী গাড়ি (ডব্লিউবি ৪১এফ৪৬২০) বারাসতের দিকে যাচ্ছিল। গাড়িতে ৪০-৪৫ জন শ্মশানযাত্রী ছিলেন। মাইকেলনগরের কাছে আচমকা গাড়ির সামনের ডান দিকের চাকা ফেঁসে যাওয়ায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। কয়েক জন গাড়ির তলায় পড়ে যান, কয়েক জন ছিটকে রাস্তার উপরে পড়েন। কারও মাথায়, কারও ঘাড়ে, পায়ে, কারও আবার বুকে আঘাত লাগে। রক্তাক্ত এবং সঙ্কটজনক অবস্থায় তিন জনকে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ন’জন আহত অবস্থায় বারাসত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আরও দু’জনকে ওই হাসপাতাল থেকে পরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সূত্রের খবর, বাকি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সকলেরই বাড়ি বারাসতের দক্ষিণপাড়া এলাকায়।
মৃত তিন ব্যক্তির এক আত্মীয় চন্দন সাউ জানান, তাঁর বাবা মতিলাল সাউয়ের শেষকৃত্য করে নিমতলা থেকে বারাসতে ফিরছিলেন তাঁরা। গাড়িতে ৪০-৪৫ জন ছিলেন। মৃতদের মধ্যে তাঁর মামা, কাকা ও এক আত্মীয় রয়েছেন। তবে তাঁর দাবি, গাড়ির চালকের কোনও গাফিলতি নেই। রাতে রাস্তা ফাঁকা থাকলেও ঘণ্টায় ৪০-৪৫ কিলোমিটার গতিতে যাচ্ছিল সেটি। চাকা ফেঁসে যাওয়াতেই দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে স্থানীয়দের কথায়, গাড়িতে লোক বেশি ছিল। চাকা ফেঁসে যাওয়ার পরে সেটি কার্যত বৃত্তাকারে ঘুরতে ঘুরতে ডিভাইডারে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। তার জেরেই সজোরে ছিটকে পড়েন বেশ কয়েক জন যাত্রী। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ কর্মীরা। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারাও।
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, রাত বাড়লেই যশোর রোডে মালবাহী গাড়ির গতি বেড়ে যায়। যার জেরে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। বিধাননগর পুলিশ একাধিক জায়গায় গার্ডরেল বসিয়ে গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশিও করা হচ্ছে। তবে রাতের পথে বেপরোয়া গতি তাতে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আরও অভিযোগ, এই ধরনের মালবাহী গাড়ির যন্ত্রাংশ কার্যক্ষম অবস্থায় আছে কি না এবং গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ আদৌ করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে নজরদারির অভাব রয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ ক্ষেত্রে কী ভাবে ঘটনাটি ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। কেন চাকাটি ফেঁসে গেল তা যেমন দেখা হবে, তেমনই গাড়ির যন্ত্রাংশে কোনও ত্রুটি ছিল কি না, দেখা হবে তা-ও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy