ফাইল চিত্র।
রবীন্দ্র সরোবর থেকে হাঁস চুরির অভিযোগ আগেই উঠেছিল। এ বার রাতের অন্ধকারে সরোবর চত্বরের লায়ন্স সাফারি পার্ক থেকে খাঁচা ভেঙে ২২টি খরগোশ চুরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, নিরাপত্তায় মোড়া এবং রাতে তালাবন্ধ থাকা ওই বিনোদন পার্ক থেকে এ ভাবে খাঁচা ভেঙে খরগোশ চুরি করা হল কী ভাবে? ওই পার্ক কর্তৃপক্ষ রবীন্দ্র সরোবর থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানকার কেয়ারটেকার সুরজ দুবে জানান, সোমবার সকালে পার্কের গেট খুলে তিনি দেখেন, খরগোশের খাঁচা ভাঙা। দেখা যায়, মোট ৫৪টি খরগোশের মধ্যে ৩২টি খরগোশ রয়েছে। এর পরেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বেষ্টনী এড়িয়ে কী ভাবে খরগোশ চুরি গেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুরসভার স্থানীয় কোঅর্ডিনেটর তথা প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়. “এখন লকডাউনের জন্য বিনোদন পার্কটি বন্ধ। নিরাপত্তার ফাঁক গলে কী করে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা দরকার।’’
কেএমডিএ-নিয়ন্ত্রিত ওই পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ করে একটি বেসরকারি সংস্থা। কিন্তু রবীন্দ্র সরোবর চত্বরের পুরোটাই কেএমডিএ-র অধীনে। ওই পার্কের ভিতরে আলাদা করে নিরাপত্তারক্ষী না থাকলেও সংলগ্ন সরোবরের মূল গেটে কেএমডিএ-র রক্ষীরা থাকেন। তা ছাড়া, পার্কের কেয়ারটেকারও সেখানেই থাকেন। সেটির ভিতরে সিসি ক্যামেরাও রয়েছে।
পার্কটির রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থার তরফে সুভাষ মুরারকা বলেন, “ওই পার্কে বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। কিন্তু আমপানে বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যে জায়গায় ওই খাঁচা রয়েছে, সেখানে কোনও ক্যামেরা অবশ্য নেই।’’ কেএমডিএ-র এক উচ্চপদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘পার্কের বাইরে আমাদের নিরাপত্তারক্ষীরা পাহারা দেন। ঝড়ে সরোবর চত্বরের অধিকাংশ সিসি ক্যামেরা খারাপ হয়ে গিয়েছে। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। কী ভাবে চুরি হল, তার তদন্ত হওয়া দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy