ভগ্নদশা: রাস্তায় ধস নেমে ভেঙে পড়েছে দু’টি টালির বাড়ির একাংশ। রবিবার, রতনবাবু ঘাটের কাছে। ছবি: সুমন বল্লভ।
বড় ফাটল দেখা গিয়েছিল বছরখানেক আগেই। তখনও বাড়়িছাড়া হতে হয়েছিল গঙ্গাপাড়ের বেশ কয়েকটি পরিবারকে। শনিবার রাতে ফের ফাটল দেখা গেল গঙ্গার পাড় সংলগ্ন রতনবাবুর ঘাটে। যার জেরে রাত থেকে ঘরছাড়া প্রায় ১২টি পরিবার।
শনিবার বিকেল থেকে রতনবাবু ঘাট সংলগ্ন গঙ্গাপাড়ের একাধিক বাড়ির দেওয়ালে ফাটল দেখা দেয়। দ্রুত জিনিসপত্র সরানোর কাজ শুরু করেন বাসিন্দারা। রাতে ফাটল বাড়তে থাকায় ফাঁকা করে দেওয়া হয় এলাকা। পুরসভা সূত্রের খবর, রাত ১০টা নাগাদ দু’টি টালির বাড়ির অংশ ভেঙে পড়ে। রাতে পুরকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। বাসিন্দাদের ওই সব বড়ি থেকে সরিয়ে স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলে রাখার বন্দোবস্ত করা হয়। ঘরছাড়া বাসিন্দাদের এক জন পিঙ্কি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাত থেকেই স্কুলে রয়েছি। গত বছরও একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময়ে নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।’’
রবিবার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারেরা। কী কারণে এই ফাটল, তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। কলকাতা পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি কার্তিক মান্না জানান, গঙ্গার জলের তোড়ে কিছু জায়গায় মাটির নীচের অংশ সরে যাওয়ার ফলে এই ঘটনা ঘটছে বলে অনুমান। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘আপাতত ওখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বালির বস্তা ফেলে ধস আটকানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্য বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
প্রসঙ্গত, গত বর্ষাতেও একই রকম ভাবে ধসের কবলে পড়েছিল এই এলাকার একাধিক বাড়ি। সেই সময়েও বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের একই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy