ছবি: অমিতাভ চন্দ্র
রবীন্দ্রনাথ ১৯১২ সালে ইংল্যান্ড ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সে দেশের সঙ্গে এ দেশের সংবাদপত্রের তুলনা করে লিখেছিলেন, এখানে “আমরা লেখকের কাছে কোনও দায়িত্ব দাবি করি না, এই কারণে লেখকের শক্তি সম্পূর্ণ আলস্য ত্যাগ করে না ও ফাঁকি দিয়া কাজ সারিয়া দেয়; এর জন্যই আমাদের সম্পাদকেরা লেখকদের শিক্ষা ও সতর্কতার কোনও প্রয়োজন দেখেন না, যে-সে লোক যাহা-তাহা লেখেন এবং পাঠকেরা তাহা নির্বিচারে পড়িয়া যান।”
‘লন্ডনে’ শিরোনামের লেখাটি পরে পথের সঞ্চয় গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রবাসী পত্রিকায় এই লেখার প্রথম প্রকাশের প্রায় এক দশক পরে আনন্দবাজারের জন্ম। কিন্তু যে সমস্যার কথা রবীন্দ্রনাথ বলছেন, আমাদের দেশের পত্রপত্রিকার ভুবনে তার প্রকোপ আজও প্রবল, হয়তো বা প্রবলতর। তাঁর তিরস্কার থেকে আজও বোধ করি আমরা রেহাই পেতাম না।
১৯৯৯ সালের গোড়ায় আনন্দবাজার পত্রিকা প্রকাশিত সাত দশক সঙ্কলনের পূর্বকথায় (‘দিনে দিনে আনন্দবাজার’)নীরদচন্দ্র চৌধুরী রবীন্দ্রনাথের এই মন্তব্যগুলি স্মরণ করেছিলেন। তবে কিনা, তাঁর তীক্ষ্ণ জিহ্বা পূর্বসূরির বকুনিতে বাড়তি ঝাঁঝ সরবরাহ করেনি, বরং কিছুটা স্নেহময় সহমর্মিতা নিয়েই তিনি সংবাদপত্রের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমাদের পত্রপত্রিকার ঘাটতি আছে, সেটা অস্বীকার না করলেও তিনি লিখেছেন, “কিন্তু ইহার জন্য সম্পাদকেরা দোষী নন, তাঁহাদের দোষ আসিতেছে— যদি উহাকে দোষই বলা যায়— বাঙালি সমাজের মনোবৃত্তি হইতে। পূর্বেও উহা চিন্তার পথে বাধা ছিল, এখন এই বাধা আরও প্রবল হইয়াছে ভারতবর্ষে বাঙালির মানসিক নেতৃত্বের অবসানের ফলে। উহার জন্যেই সমগ্র বাঙালি সমাজে চিন্তার অসাড়তা ও মানসিক ধর্মের অনৈক্য দেখা দিয়াছে। আজিকার দিনে একটা মিলিত বাঙালি মন, অথবা স্পষ্টভাবে বিরোধী হইয়া-ও পরস্পরযুক্ত বাঙালি মন, আর নাই। সুতরাং সম্পাদকেরাও কাহার হইয়া কাহার কাছে মত প্রকাশ করিবেন বুঝিতে পারিতেছেন না... সকলকেই সন্তুষ্ট রাখিতে চাহিতেছেন।”
এহেন ওকালতি শুনে সম্পাদকদের মনে হতেই পারে যে, এমন বন্ধু থাকলে শত্রুর দরকার হয় না। কিন্তু যে কোনও বিষয়েই নীরদবাবুর মীমাংসা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে তাঁর প্রশ্নগুলো নজর করাই বুদ্ধিমানের কাজ। সংবাদপত্র এবং সমাজের পারস্পরিক সম্পর্কের যে প্রশ্নটি এখানে উঠে এসেছে তা কেবল গুরুত্বপূর্ণ নয়, আনন্দবাজার পত্রিকার মতো একটি সংবাদপত্রের পক্ষে মৌলিক প্রশ্ন। কেন, সেটা দু’চার কথায় বলার চেষ্টা করা যাক।
দীর্ঘ দিন ধরেই এই পত্রিকার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক সমাজের একটা জটিল টানাপড়েন চলে এসেছে। জটিলতা দু’তরফেই। নাগরিকদের দিক থেকে দেখলে খেয়াল করতে পারি যে, যাঁরা পাঠক এবং যাঁরা পাঠক নন, আনন্দবাজার বিষয়ে দুই বর্গের ধারণাতেই একাধিক মাত্রা আছে, একাধিক স্তর। এর বাইরেও নিশ্চয়ই অনেকেই আছেন তাঁদের প্রশ্নহীন মুগ্ধতা অথবা নির্মম বিরাগ নিয়ে। কিন্তু— যে কোনও বিষয়েই— কেউ নির্ভেজাল প্রশস্তি বা নিন্দায় উচ্চকণ্ঠ হলে সন্দেহ হয় যে, তিনি যতটা ভাবছেন তার চেয়ে অনেক বেশি বলছেন, কারণ নিজেকে বিজ্ঞাপিত করাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য, আলোচ্য বিষয় সেই উদ্দেশ্য সাধনের উপলক্ষমাত্র। তাই, চরমপন্থীদের সশ্রদ্ধ প্রণাম জানিয়ে চিরকালই কান পেতেছি তাঁদের কথায়, যাঁরা সংশয় প্রকাশ করেছেন, প্রশ্ন তুলেছেন। বহু প্রশ্ন, বহু রকমের প্রশ্ন। সবচেয়ে বেশি ভাবিয়েছে একটি মৌলিক সমালোচনা। অনেক বার অনেক ভাবেই শুনেছি সেটা, তবে বিশেষ করে মনে পড়ে বছর পনেরো আগে রাজ্যের একটি ছোট শহরে এক পাঠকসভায় এক মধ্যবয়সি স্কুলশিক্ষকের কথা। অনুচ্চ কণ্ঠে, কিন্তু খুব কঠোর ভাবে বলেছিলেন তিনি, “আপনাদের পত্রিকার মত আমার মতের সঙ্গে মেলে না, কিন্তু তা নিয়ে আমার কোনও অভিযোগ নেই। আপনারা আপনাদের কথাই বলুন। কিন্তু সেটা দায়িত্ব নিয়ে বলুন। সমাজের প্রতি আপনাদের একটা দায় আছে, সেটা আপনারা ঠিক মতো পালন করেন না, অনেক অবিবেচনার কাজ করেন। এটা নিয়ে অত্যন্ত আপত্তি আছে।”
অবিবেচনার কিছু দৃষ্টান্ত জানতে চেয়েছিলাম, তিনি জানিয়েছিলেন। তা নিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ আলোচনাও চলেছিল। কিন্তু এখানে বিশেষ ভাবে স্মরণ করছি তাঁর ওই বাক্যটি: ‘সমাজের প্রতি আপনাদের একটা দায় আছে।’ এই কথাটা বহু উপলক্ষে শুনেছি, কখনও উপদেশের সুরে, কখনও অনুযোগের, কখনও বা ক্ষোভের। কখনও সমালোচনা মেনে নিয়েছি, কখনও ভিন্নমত জানিয়েছি, কখনও বা তর্কও করেছি, কিন্তু একটা কথা বার বারই মনে হয়েছে। সেটা এই যে, সমাজের বহু মানুষ, সমর্থনে হোক, সমালোচনায় হোক, আনন্দবাজার পত্রিকাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। এবং সেটা এই কারণে যে, তাঁদের মতে সমাজের প্রতি এই পত্রিকার একটা বিশেষ দায়িত্ব আছে। দায়িত্বটা ঠিক কী, তার কোনও সোজাসাপ্টা সর্বজনসম্মত উত্তর আছে বলে মনে হয় না। থাকার কথাও নয়— বিভিন্ন মানুষ নিজের নিজের অবস্থানে দাঁড়িয়ে সেই দায়িত্বের বিভিন্ন ধারণা তৈরি করবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাতে দায়িত্ব পালনের দাবির মূল্য কমে না, বরং সেই দাবি পূরণের কাজটা বহু গুণ কঠিন হয়ে পড়ে।
এই ধরনের আলোচনা সেরে বাড়ি ফেরার পথে অনেক বারই ভেবেছি, ওই পাঠকরা আনন্দবাজারকে যতটা গুরুত্ব দেন, আনন্দবাজার নিজেকে সব সময় ততটা গুরুত্ব দেয় কি? দৈনন্দিন অনুশীলনের মাপকাঠিতে এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে নুনের পুতুলের সমুদ্রে নামার দশা হবে, সে-বিষয়ে কিছুমাত্র সন্দেহ নেই। তবে প্রশ্নটাকে একটু অন্য স্তরে রেখে ভাবা যেতে পারে। আনন্দবাজার তার নিজের সামাজিক দায়িত্বকে কী ভাবে দেখেছে? কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে চেয়েছে? বলা বাহুল্য, একশো বছরের অভিযাত্রায় এই দৃষ্টি এক থাকেনি। সেই বিবর্তনের ইতিহাস রচনার কোনও অবকাশও এখানে নেই। কিন্তু বিবর্তনের ধারাটিকে লক্ষ করলে হয়তো একটা ধারণায় পৌঁছোনো যেতে পারে। সে জন্য দু’টি বিশেষ দিনে প্রকাশিত এই পত্রিকার দু’টি সম্পাদকীয় নিবন্ধের কাছে ফিরে যাওয়া যেতে পারে।
প্রথম তারিখটি ১৯৯৩ সালের ১৪ এপ্রিল। একটু খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, সে দিন ছিল ১৪০০ সালের নববর্ষ। ‘স্বাগত হে ১৪০০ সাল’ শিরোনামাঙ্কিত সে দিনের প্রথম সম্পাদকীয়টি অস্তায়মান চতুর্দশ শতকের যে ছবি আঁকে, তা অনিবার্য ভাবেই বিষাদরঞ্জিত। যে শতাব্দীর প্রভাতে বঙ্গভঙ্গের প্রথম প্রচেষ্টা প্রতিহত হলেও শেষরক্ষা হয়নি, মধ্যাহ্নে বাঙালির বাসভূমি দ্বিখণ্ডিত হয়, সে বড় সুখের সময় ছিল না। কিন্তু তার পর? দেশভাগ এবং তার পরবর্তী সঙ্কট ও অবক্ষয়ের ভস্মশয্যা থেকে পশ্চিমবঙ্গকে যদি উঠে দাঁড়াতে হয়, তবে কী তার করণীয়? এই বিষয়ে সে দিনের আনন্দবাজার পত্রিকার বক্তব্য: “গত যুগ যদি বিপর্যয় আনিয়া দিয়া থাকে, তবে নূতন যুগে তাহা হইতে উত্তীর্ণ হইবার উপায় নূতন চেতনার আলোকে খুঁজিয়া বাহির করিতে হইবে। কেবল আবেগকে অবলম্বন করিয়া কেহ সার্থকতায় পৌঁছিতে পারে না। যুক্তি বুদ্ধির অনুশীলনই মানুষকে ভবিষ্যতের পথ দেখাইতে পারে।”
দ্বিতীয় তারিখ: ১ জানুয়ারি, ২০০১। দুনিয়া জুড়ে নতুন সহস্রাব্দের উদ্যাপনে শরিক এই সংবাদপত্রের প্রথম সম্পাদকীয় নিবন্ধের শিরোনাম: ‘নূতন শতাব্দীর মন্ত্র’। মূল মন্ত্রটি অবশ্যই অবাধ অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার, কারণ সেটাই এই পত্রিকার স্বধর্ম। নব্বইয়ের দশকে ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক নীতি প্রতিযোগিতার ধর্মকে প্রবল উদ্যমে স্বীকার করেছে, সেটা স্বভাবতই এই সংবাদপত্রের বিচারে আশাপ্রদ। কিন্তু একই সঙ্গে সেই বিচারের রায় এ কথাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, এখনও অনেক কাজ বাকি, আর্থিক সংস্কারের পথে থেকে এখনও বিস্তর বাধা, সরকারি নীতিকে এখনও বহু দূর যেতে হবে। এবং তার পরেই ঘোষিত হয়েছে সতর্কবাণী: “কিন্তু এখানেই সমস্যার শেষ নয়। বাহিরের বাধা দূর হইবার পরেও অন্দরের বাধা থাকিয়া যাইবে। তাহা মানসিকতার বাধা। এ দেশের সমাজে প্রতিযোগিতার মানসিকতা স্ফূর্তি পায় না। তাহার মূলে বর্ণাশ্রমধর্মের প্রাচীন উত্তরাধিকার। কিন্তু দায় কেবল সেই উত্তরাধিকারের নয়, পরবর্তী কালেও নানা ভাবে প্রতিযোগিতাকে দমন করিয়া রাখা হইয়াছে। সমাজপতিরা তাহা দমন করিয়াছেন, শ্রেষ্ঠীরা তাহা দমন করিয়াছেন, শেষ অবধি আধুনিক রাষ্ট্র তাহা দমন করিয়াছে। কালক্রমে তৈয়ারি হইয়াছে এমন সমাজ, যাহা নানাবিধ চক্রের দ্বারা চালিত, তাহাদের মধ্যে প্রাপ্তিযোগের ভাগবাটোয়ারা করিয়াই যাহার অগ্রগতি। প্রতিযোগিতাকে এই সমাজ শতহস্ত দূরে রাখিতে চাহে।” এই অচলায়তন যদি ভাঙতে হয়, তবে সে কাজ একা সরকারের সাধ্য হতে পারে না, তাতে উদ্যোগী হতে হবে ‘এক কথায় সমগ্র সমাজকে’।
প্রতিযোগিতার বাজারকে উন্নতির শ্রেষ্ঠ প্রকরণ বলে মেনে নিয়ে আর্থিক সংস্কারের পক্ষে এই পত্রিকা আশির দশকের প্রথম পর্ব থেকেই জোরদার সওয়াল চালিয়েছে। এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ যে, দুনিয়া জুড়ে রাষ্ট্রনীতিতে এবং অর্থশাস্ত্রে বাজার অর্থনীতির আধিপত্য বিস্তারের সঙ্গে আনন্দবাজারের এই সওয়াল চলেছে সমান্তরাল উদ্যমে। বস্তুত, ১৯৯১ সালের নরসিংহ রাও বা মনমোহন সিংহের আর্থিক চিন্তা এই দিক থেকে আনন্দবাজারের প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক চিন্তার অনুগামী। চিন্তাধারাটি বহু-আলোচিত। বিতর্কিতও বটে। বিতর্ক সুস্থ সমাজের লক্ষণ। কিন্তু যে ব্যাপারটা নিয়ে তুলনায় অনেক কম কথা হয়, তা হল— এই পত্রিকা বরাবর সমাজের মানসিকতাকে, তার চিন্তা ও চেতনাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শক্তি বলে মনে করেছে। যে দু’টি ‘ঐতিহাসিক’ সম্পাদকীয়ের উল্লেখ করা হল, তাতেও এই সত্য স্পষ্ট। এবং তাদের বক্তব্য এক দীর্ঘ পরম্পরার অঙ্গ, যে পরম্পরা নানান বিবর্তনের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে। এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ যে, গত কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন উপলক্ষে নানা সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সমস্যা সম্পর্কে মতামত জানাতে গিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা কেবলমাত্র সরকার বা রাজনৈতিক দলের সমালোচনায় নিজেকে সীমিত রাখেনি, সমাজকে, সমাজের চিন্তাশীল মানুষকে দায়িত্ব নিতে আবেদন বা আহ্বান জানিয়েছে। নতুন চিন্তার দায়িত্ব, নতুন উদ্যমের দায়িত্ব। ‘বুদ্ধি ও মেধার সঙ্গে শ্রম ও কর্মশক্তির মেলবন্ধনের’ দায়িত্ব।
এই কারণেই সমাজের সঙ্গে পত্রিকার সম্পর্কের মধ্যে নিহিত টানাপড়েনটি অনিবার্য ভাবে জটিল। একটি জনপ্রিয়, বহুলপ্রচারিত সংবাদপত্র, যে তার ধারক সমাজের মধ্যে কাজ করছে, দৈনন্দিন সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি প্রতিদিন নিজের মতামত জানিয়ে চলেছে, আবার বিভিন্ন ধরনের মতামতকে নিজের পরিসরে ধারণ করছে, এই সমস্ত কিছু মিলিয়ে যে এক নিরন্তর সামাজিক কথোপকথনের এক মুক্ত মঞ্চ হিসেবে সক্রিয় রয়েছে, তার কাজ সহজসাধ্য হতে পারে না। আর, পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক ‘সমাজে চিন্তার অসাড়তা ও মানসিক ধর্মের অনৈক্য’ এখন এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এই দায়িত্ব আজ বহু গুণ বেশি কঠিন।
কী ভাবে সেই দায়িত্ব পালনীয়, তার কোনও তৈরি নির্দেশিকা নেই। নিরন্তর অনুশীলনেই তার পথ খুঁজে নিতে হয়। স্বধর্মে স্থিত থেকেই সেই অনুশীলন সার্থক হতে পারে। মনে রাখতে হবে, সামাজিক বহুত্বের প্রতি আস্থা এবং দায়বদ্ধতা আনন্দবাজার পত্রিকার স্বধর্ম। বহুত্বের সাধনার মধ্য দিয়েই সমাজের সামনে ‘বৃহৎ বাঙালি’র আদর্শ সে জাগ্রত রাখতে চেয়েছে। আবার, সেই আদর্শে তন্নিষ্ঠ থাকার দায়িত্ব তার নিজেরও।
শতবর্ষের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে এই বিষয়ে প্রত্যয়ী হওয়ার কারণ আছে। আনন্দবাজার পত্রিকা জানে, তার সবচেয়ে বড় ভরসা সে নিজে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy