তাপপ্রবাহের কলকাতায় সতর্কতা জারি করল লালবাজারও!
রাস্তায় কর্তব্যরত ট্রাফিক এবং অন্যান্য পুলিশকর্মীদের ছাতা, রুমাল, তোয়ালে, সানগ্লাস ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষকর্তারা। থানায়-থানায় পর্যাপ্ত পরিমাণে জলের বন্দোবস্ত করার কথাও বলা হয়েছে। ট্রাফিক কর্মীদের ডিউটির সময় কমানো নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। তবে এর মধ্যেই ভাঁড়ারে ওআরএস-এর ঘাটতি নিয়ে ফাঁপরে পড়েছেন পুলিশকর্মীরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রতি বছর গরমে পুলিশকর্মীদের ‘ওআরএস’ (ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন) দেওয়া হয়। কিন্তু এ বছর রবিবার বিকেল পর্যন্ত তা পুলিশকর্মীদের হাতে পৌঁছয়নি। ফলে নিজেদেরই ওআরএস কিংবা গ্লুকোজ কিনে সামাল দিতে হচ্ছিল নিচুতলার কর্মীদের। লালবাজারের খবর, ওআরএস না থাকার খবর কলকাতা পুলিশের শীর্ষকর্তাদের কানে পৌঁছয়। তার ফলেই তড়িঘড়ি তা কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সদর দফতরের ভাঁড়ারে ওআরএস থাকবে না কেন?
পুলিশ সূত্রের ব্যাখ্যা, গত কয়েক বছর ধরে এত আগে গরম পড়েনি। তাই এপ্রিলের শেষ কিংবা মে মাসে ওআরএস কেনা হত। তবে শীর্ষকর্তাদের নির্দেশে এখনই সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। রবিবার লালবাজারের এক পুলিশকর্তা বলেন, “রাতের মধ্যেই প্রতিটি ট্রাফিক গার্ডে ওআরএস পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।”
গত কয়েক দিন ধরেই পারদ চড়ছিল শহরে। শনিবার তা পৌঁছে যায় ৩৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রবিবার আরও কিছুটা বেড়ে পারদ প্রায় ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে! শহর জুড়ে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও ঘোষণা করেছে আবহাওয়া দফতর। লালবাজারের খবর, মার্চের শেষে হঠাৎ এমন তীব্র গরমের প্রেক্ষিতেই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন শীর্ষকর্তারা। তার পরেই ট্রাফিক এবং মূল কন্ট্রোল রুম মারফত প্রতিটি থানা ও ট্রাফিক গার্ডে গরমের দাওয়াই-বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়।
পুলিশের খবর, এখন এক জন ট্রাফিক কর্মীকে রোদে টানা আট ঘণ্টা ডিউটি করতে হয়। তার ফলে অনেক সময়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। সে বিষয়টিও উচ্চকর্তাদের কানে তোলা হয়েছে। লালবাজারের খবর, ভোটের ডিউটিতে কলকাতা পুলিশের একটি দল উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গিয়েছে। তার ফলে কর্মীর ঘাটতি রয়েছে। তবে কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্রাফিক) দিলীপ আদক এ দিন বলেন, “ডিউটির সময় কমিয়ে আট ঘণ্টা থেকে ছ’ঘণ্টা করা নিয়ে আলোচনা চলছে।”
গরম পড়ায় সতর্ক বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটও। বিমানবন্দর, যশোহর রোড এবং ভিআইপি রোডের বড় অংশে এই কমিশনারেটের পুলিশকর্মীরা ডিউটি করেন। তবে গরম থেকে বাঁচতে এখনও নির্দিষ্ট কোনও অস্ত্র কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। তবে অসুস্থতা এড়াতে ছাতা-সানগ্লাস ব্যবহার বা পর্যাপ্ত জল খাওয়ার মতো সাধারণ পরামর্শ দিয়েছেন কর্তারা। বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা বলেন, “গরম এড়াতে আর কী কী করা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে।”
দহন-যুদ্ধ
• রাস্তায় ডিউটিতে ছাতা-সানগ্লাস
• প্রতিটি ট্রাফিক বুথে পর্যাপ্ত জল এবং ওআরএস
• শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ‘নেক কুলার’ বা ভিজে তোয়ালে
• প্রতিটি থানায় ঠান্ডা পানীয় জল
• কর্তব্যরত কর্মীরা সুস্থ কি না, নজরদারিতে পদস্থ অফিসারেরা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy