শুধু বনবিতানের ঝিল নয়, বিধাননগরের দত্তাবাদ বা সংযোজিত এলাকায় বেশ কিছু জলাশয় আছে। অভিযোগ, এই জলাশয়গুলির সংস্কার, সংরক্ষণের কোনও ব্যবস্থা হয়নি। বর্তমান রাজ্য সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বিধাননগরে নানা সৌন্দর্যায়নের কাজ হলেও এই জলাশয়গুলি ব্রাত্যই রয়ে গিয়েছে। সমস্যার কথা স্বীকার করে পুর-প্রশাসন জানায়, জলাশয় সংস্কারের পরিকল্পনা হয়েছে। তবে নির্বাচন বিধি চালু হওয়ায় এ সম্পর্কে কেউ সুনির্দিষ্ট ভাবে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এ ভাবেই পড়ে জলাশয়। —নিজস্ব চিত্র।
বিধাননগর পুরসভার দত্তাবাদ, সুকান্তনগর, মহিষবাথান এলাকার জলাশয়গুলির অধিকাংশে মূলত মাছচাষ করা হয়। কিছু জায়গায় ব্যক্তিগত ভাবে, কিছু জায়গায় সমবায়ের অধীনে মাছচাষ হয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অধিকাংশ জলাশয়ের দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় সেগুলি মশার আঁতুড়ে পরিণত হয়েছে। বেড়েছে সাপের উপদ্রবও।
বিধাননগরের এ সব অঞ্চলে দ্রুত বসতি বাড়ছে। আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসাবে জলাশয় ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। যেমন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএমের রাধানাথ চাঁদের অভিযোগ, বাসিন্দারা দীর্ঘ দিন একটি জলাশয়ের সংস্কারের দাবি করছেন। সংস্কার না হওয়ায় তাঁদের নানা সমস্যা হচ্ছে। পুরসভা, মহকুমা প্রশাসনকে বার বার বলেও কোনও কাজ হয়নি।
জলাশয় সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক চাপান-উতোরও আছে। তৃণমূলের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থেকেও বামবোর্ড এই কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে। মাত্র আড়াই বছরে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তবে ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে জলাশয় সংস্কারের কাজ চলছে। তবে বাম নেতৃত্বের দাবি, জলাশয়গুলি নয় ব্যক্তিগত কিংবা সমবায়ের অধীনে ছিল। তা সত্ত্বেও আগের বামবোর্ড, কয়েকটি জলাশয় সরকারের অধীনে নিয়ে সংস্কার করেছে। এখন তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
জলাশয়গুলির সংস্কার অবহেলিত থাকায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। তাঁদের একটি সংগঠন বিধাননগর (সল্টলেক) ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, ‘‘পরিকল্পনাতেই গলদ। সাময়িক সমস্যার সমাধানে নজর দিচ্ছে প্রশাসন। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া জলাশয় রক্ষা পাবে না। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।” সমস্যার কথা স্বীকার করে বিধাননগর পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক সঞ্জয় দাস জানান, এই সম্পর্কে প্রশাসন ওয়াকিবহাল। এ নিয়ে পরিবেশ দফতর পুরসভাকে চিঠিও দেয়। পুরসভাও সম্মতি জানিয়ে পরিবেশ দফতরে চিঠি পাঠিয়েছে। আপাতত দত্তাবাদের কয়েকটি পুকুরের সংস্কার করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy