Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Abhishek Banerjee

অভিষেকের মন্তব্য নিয়ে সুকান্তের অভিযোগের সারবত্তা নেই, আদালতে রিপোর্ট দিয়ে বলল পুলিশ

আদালতে পুলিশের ‘ক্লিনচিটে’র পর এ বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য জানানোর আর্জি জানান সুকান্ত। আদালত সেই অনুমতি দিয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (বাঁ দিকে), সুকান্ত মজুমদার (ডান দিকে)।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (বাঁ দিকে), সুকান্ত মজুমদার (ডান দিকে)। ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২২ ১৮:২৬
Share: Save:

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগের সারবত্তা নেই। বৃহস্পতিবার নিম্ন আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়ে এমনটাই জানাল কলকাতা পুলিশ। নবান্ন অভিযানের দিন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত এক পুলিশ আধিকারিককে হাসপাতাল থেকে দেখে বেরিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, তাঁর সামনে এই ঘটনা ঘটলে তিনি দুষ্কৃতীদের মাথায় গুলি করতেন। অভিষেকের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধেই আদালতে গিয়েছিলেন সুকান্ত।

অভিষেকের এই মন্তব্যের দিন পনেরো পরে তা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি অভিযোগ করেন, থানায় অভিযোগ দায়ের করতে দেয়নি পুলিশ। তাই বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশ জানাল, বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচির পর অভিষেকের ওই মন্তব্যের ফলে কোনও অপরাধমূলক ঘটনার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পুলিশের ‘ক্লিনচিটে’র পর এ বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য জানানোর আর্জি জানান সুকান্ত। আদালত সেই অনুমতি দিয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশের গাড়ি জ্বালানোর পাশাপাশি পুলিশ আধিকারিক দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে বেধড়ক মারধর করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় গুরুতর জখম দেবজিৎকে। পর দিন অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর দেবজিৎকে দেখতে হাসপাতালে যান অভিষেক। সেখান থেকে বেরিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘ওই অফিসারকে বলেছি, আমি আপনাকে স্যালুট করি। আমার সামনে যদি কেউ পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিত, পুলিশকে মারত, আমি (নিজের কপালে আঙুল ঠেকিয়ে) তাদের মাথায় শ্যুট করতাম!’’

প্রসঙ্গত, অভিষেকের এই মন্তব্যের পর পথে নেমেছিল বিজেপি। লালবাজার অভিযানেরও ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই অভিযান বিজেপির রাজ্য দফতর থেকে বেরিয়ে কলেজ স্ট্রিটেই শেষ হয়ে যায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্তের দাবি ছিল, রাজ্যে ‘ট্রিগার হ্যাপি’ পুলিশ উপহার দিতে চাইছেন অভিষেক। কিন্তু আদালতে সুকান্তের সেই দাবিও কার্যত ভুল বলে জানিয়ে দিল পুলিশ। যদিও তাতে অভিষেক বা তৃণমূল নেত্রী মমতাকে আক্রমণের পথ থেকে সরছে না বিজেপি। বৃহস্পতিবারই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘‘মানিকের (মানিক ভট্টাচার্য) চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর নাম আছে। তৃণমূল যুবর এক সাধারণ সম্পাদক ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা তুলেছেন। তিনি এখন ভানুয়াতুতে। ওই চিঠির তদন্ত হোক। উনি কিছুই জানতেন না, এটা ঠিক কথা নয়। উনিও ষড়যন্ত্রের মধ্যে আছেন। তাঁকে নির্দিষ্ট জায়গায় জেরা করা উচিত। ইমেল করে প্রশ্ন পাঠানো উচিত। আমি বিচার বিভাগ এবং তদন্তকারীদের কাছে আবেদন করছি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE