গত ১ মার্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিক কী ঘটেছিল, এ বার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বয়ান নিল কলকাতা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন দিন আগেই তাঁর বয়ান রেকর্ড করেছেন তদন্তকারীরা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন ব্রাত্য। অভিযোগ, তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। ছাত্রভোটের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সেই সময় ব্রাত্যের গাড়িতে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। ব্রাত্য আহতও হন। অন্য দিকে, দু’জন ছাত্র এই অশান্তিতে আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ইন্দ্রানুজ রায় এবং অভিনব বসু আহত হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।
যাদবপুরকাণ্ডে একাধিক মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। আহত পড়ুয়া ইন্দ্রানুজ গত ১ মার্চের ঘটনা নিয়ে ইমেল করে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। যদিও পড়ুয়াদের দাবি, তার পরও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। উচ্চ আদালতে বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ পুলিশকে ইন্দ্রানুজের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, ইন্দ্রানুজ আগেই ইমেল মারফত পুলিশকে তাঁর অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই ইমেলে তিনি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তাঁর গাড়িচালক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র-সহ তৃণমূলকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আর্জি জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:
যাদবপুরের ঘটনার তদন্তে পুলিশ ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যক্তির বয়ান নথিভুক্ত করেছে। পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, ব্রাত্যের গাড়ির ধাক্কাতেই আহত হয়েছেন ইন্দ্রানুজেরা। যাদবপুরের ঘটনার পর সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই তথা বামেদের তরফে একটি ছবি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির তলায় আড়াআড়ি ভাবে পড়ে রয়েছেন এক ছাত্র। সেই সূত্র ধরেই গত শনিবার এসএফআইয়ের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যকে তলব করেছিল পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, যাদবপুরকাণ্ডের তদন্তে সেই দিনই তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সদস্য ওমপ্রকাশের বাড়িতেও যায় পুলিশ। উল্লেখ্য, ঘটনার দিন তিনিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।