প্রতীকী ছবি।
এক দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করতে গিয়ে ভিন্ রাজ্যে হুমকির শিকার হল কলকাতা পুলিশ। মেলেনি সেই রাজ্যের পুলিশের সহায়তাও। উল্টে জেলার পুলিশ সুপার কলকাতা পুলিশ আধিকারিকদের সতর্ক করে বলেন, প্রাণে বাঁচতে চাইলে তাঁরা যেন সেখান থেকে চলে যান। অবশেষে বাধ্য হয়ে রাজ্যে ফিরে এসে কলকাতা পুলিশ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। আদালতে তাদের আবেদন, ওই দুষ্কৃতীকে ধরতে সিবিআই বা সিআইডি-র মতো নিরপেক্ষ কোনও সংস্থাকে যেন তদন্তের ভার দেওয়া হয়।
কোটি কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে ১১ মার্চ সিদ্ধার্থ কোঠারি নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয় কলকাতার বটতলা থানায়। পরে নিম্ন আদালত অভিযুক্তকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। সেই মতো ওই ব্যক্তির খোঁজে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। জানা যায়, ওই ব্যক্তি ছত্তীসগঢ়ের দুর্গ জেলায় গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। এর পরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে কলকাতা পুলিশের একটি দল সেখানে হানা দেয়। এবং সাহায্যের জন্য স্থানীয় থানার সঙ্গে তারা যোগাযোগও করে। কিন্তু ওই ব্যক্তিকে ধরতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। বাধার মুখে পড়ে এ রাজ্যের পুলিশ। অভিযুক্তের সঙ্গে স্থানীয় দুষ্কৃতীরাও মিলিত হয়ে কলকাতা পুলিশের উপর চড়াও হয়।
বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে পুলিশের আইনজীবী জানান, ওই ব্যক্তির সঙ্গে দুর্গ জেলার পুলিশ সুপারের খুবই ভাল সম্পর্ক। এখানকার পুলিশ যেতেই ওই ব্যক্তি পুলিশ সুপারকে ফোন করে জানান, ‘আঙ্কল ওরা এসে গিয়েছে।’ তার পরই এ রাজ্যের পুলিশকে সহায়তা করেনি ছত্তীসগঢ়ের পুলিশ। উল্টে ওই জেলার পুলিশ সুপার ফোন করে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের জানান, প্রাণে বাঁচতে চাইলে তাঁরা যেন পালিয়ে যান। তিনি কোনও রকম সাহায্য করতে পারবে না। ফলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করই ফিরে আসে এ রাজ্যের পুলিশ।
নিম্ন আদালতের নির্দেশকে কার্যকর করতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় কলকাতা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ওই মামলাটি ওঠে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চে। আদালতে কলকাতা পুলিশের আইনজীবীর আবেদন, ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করতে সিবিআই বা সিআইডি এই বিষয়টির দায়িত্ব দেওয়া হোক। যদিও বৃহস্পতিবার তাঁদের আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, ওই বিষয়টি নিয়ে ছত্তীসগঢ়ের পুলিশ প্রধানের (ডিজিপি) সঙ্গে এ রাজ্যের পুলিশ প্রধান (ডিজিপি) যোগাযোগ করবেন। এক মাসের মধ্যে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা গেল কি না, তা আদালতকে জানাতে হবে। তার পরও কাজ না হলে নিরপেক্ষ সংস্থার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy