নগরপাল অনুজ শর্মা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
দিল্লির অশান্তির আঁচ যাতে কলকাতার গায়ে না লাগে, সে জন্য পুলিশের সমস্ত স্তরের আধিকারিকদের সতর্ক করলেন নগরপাল অনুজ শর্মা। শুধু কলকাতা পুলিশ নয়, নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য পুলিশের তরফেও সমস্ত থানাকে একই রকম ভাবে সতর্ক করা হয়েছে। আরও সক্রিয় হতে বলা হয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশকেও।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে নগরপাল বাহিনীর আধিকারিকদের বার্তা দিয়েছেন যে, থানার ওসি থেকে শুরু করে বিভাগীয় ডেপুটি কমিশনার এবং সহকারি কমিশনারদের এলাকায় আরও বেশি করে ঘুরতে হবে। থানার কর্মীদের নিজেদের এলাকা থেকে আরও বেশি করে খবর সংগ্রহ করতে হবে। সেই সঙ্গে এলাকায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষে সঙ্গে আধিকারিকদের কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট মানুষ এবং নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের কথা বলেছেন অনুজ শর্মা।
দিল্লির হিংসা নিয়ে এ দিন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীও। ভুবনেশ্বর যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন, যা চলছে। কেন চলছে, এ সব আমি জানি না। আমরা লক্ষ্য রাখছি। এবং আমি মনে করি, সবারই শান্তি রাখা দরকার। আমাদের দেশ শান্তির দেশ, মানবতার দেশ, সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চলার দেশ, ধর্মনিরপেক্ষতার দেশ। এখানে হিংসার কোনও স্থান নেই।’’
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্ত এলাকায় ছোটখাটো জমায়েতের উপরও নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই সব জমায়েতে কারা থাকছেন, তার পিছনে কারা রয়েছেন, সেই সম্পর্কিত সবিস্তার তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লালবাজারের তরফে। পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া, অল ইন্ডিয়া মজলিশে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম) এবং হিন্দু সংহতি বা হিন্দু সেনার মতো কট্টরপন্থী সংগঠনের জমায়েত এবং সভার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুরভোটের প্রস্তুতি, ২ মার্চ বৈঠক মমতার
ভরা বসন্তেও দফায় দফায় বৃষ্টি, বর্জ্রবিদ্যুতেরও পূর্বাভাস দিল আলিপুর
কলকাতা শহরের মতো গোটা রাজ্যের সমস্ত থানাকে একই মর্মে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সংশোধিত নাগরিক আইন (সিএএ)-এর বিরোধিতায় এ রাজ্যে হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ এবং মালদহের মতো জেলাগুলিতে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই জায়গাগুলিতে আরও সক্রিয় হতে বলা হয়েছে পুলিশকে। থানার ভিলেজ পুলিশকে ব্যবহার করে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। একই সঙ্গে যে সমস্ত সংগঠন এবং তাদের নেতারা এর আগে গন্ডগোল পাকিয়েছেন, তাঁদের গতিবিধির উপরও নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy