সদ্যপ্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
সদ্যপ্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভগ্নি তনিমা চট্টোপাধ্যায়কে পুরভোটে টিকিট দিল তৃণমূল। বাদ পড়লেন সুব্রতের ‘রাজনৈতিক ছাত্রী’ সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়।
তনিমা রাজনীতিতে ছিলেন। কিন্তু তিনি কোনও নির্বাচিত পদে ছিলেন না। পক্ষান্তরে, সুদর্শনা ছিলেন কাউন্সিলার। এলাকার রাজনীতিতে সুব্রত নিজের মতো করে সুদর্শনাকে তৈরি করেছিলেন। তৃণমূলে সুদর্শনাকে সকলেই সুব্রতের ‘রাজনৈতিক ছাত্রী’ বলেই মনে করতেন। মূলত সুব্রতের পদচিহ্ন অনুসরণ করেই সুদর্শনার রাজনীতিতে আসা এবং পর্যায়ক্রমে কাউন্সিলার হওয়া। তিনি এ বারের প্রার্থিতালিকা থেকে বাদ পড়ায় শাসক শিবিরের অন্দরে খানিকটা বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। তবে সুদর্শনাকে টিকিট না-দেওয়ার পাশাপাশিই সুব্রতের ভগ্নি তনিমাকে টিকিট দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
শুক্রবার যে প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব, তাতে দেখা যাচ্ছে বাদ পড়েছেন প্রাক্তন কাউন্সিলার স্মিতা বক্সি। বাদ পড়েছেন রতন দে, রতন মালাকার। আবার প্রার্থী হচ্ছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের পুত্র সৌরভ বসু। মন্ত্রী শশী পাঁজার কন্যা পূজা পাঁজা। প্রার্থী হচ্ছেন বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহার পুত্র সন্দীপন সাহা। টিকিট পাচ্ছেন প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তারক সিংহের পুত্র এবং কন্যা। সাংসদ শান্তনু সেন বাদ পড়লেও প্রার্থী হচ্ছেন তাঁর স্ত্রী কাকলি সেন।
এর ভিত্তিতে বিরোধীরা তৃণমূলে ‘পরিবারতন্ত্র’-এর অভিযোগ তুলছেন। তাঁদের বক্তব্য, মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়কদের পুত্র-কন্যারা কী কাজ করেছেন! যার জবাবে শাসক শিবির বলছে, একটি বিশেষ নীতিতে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, পুরসভার মতো স্থানীয় ভোটে প্রার্থী হিসেবে এলাকায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং কম বয়সের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশিই, চেষ্টা হয়েছে বর্তমান প্রজন্মের নেতা-মন্ত্রীদের পরের প্রজন্মকে রাজনীতিতে নিয়ে আসার।
প্রসঙ্গত, প্রার্থী হচ্ছেন বিধায়ক তথা দীর্ঘদিনের কাউন্সিলার পরেশ পাল। পুরভোটে প্রার্থী হচ্ছেন বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ও। অর্থাৎ, ফিরহাদ হাকিমদের মতোই ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি এঁদের দু’জনের ক্ষেত্রেও মানা হয়নি।
আবার প্রার্থী হচ্ছেন বিদায়ী কাউন্সিলার অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। প্রার্থী হচ্ছেন প্রাক্তন সিএবি কর্তা বিশ্বরূপ দে। বিশ্বরূপ কংগ্রেসি রাজনীতিতে নীতিগত ভাবে বিশ্বাস করেন বলেই খবর। কিন্তু তিনি কখনও মূলস্রোতের নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নেননি। সে অর্থে এটিই প্রথম তাঁর সক্রিয় এবং দলীয় রাজনীতিতে প্রবেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy