মমতা-প্রিয় রতন মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন ফাইল চিত্র
শেষ দিনের অপেক্ষায় না থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন রতন মালাকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওয়ার্ডে নির্দল হয়ে পুরভোটে দাঁড়িয়েছিলেন রতন। ২০ বছর তৃণমূলের কাউন্সিলর তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে টিকিট দেওয়ায় তাঁরই বিরুদ্ধে নির্দল হয়ে লড়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন মমতা-প্রিয় রতন। শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায় জট কাটল। তৃণমূল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে রতনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন অভিষেক। সেখানেই মনোনয়ন প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দেন রতন। শনিবারই কলকাতা পুরভোটের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। শেষ দিনের অপেক্ষায় না থেকে শুক্রবারই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন রতন। নাম প্রত্যাহারের পর রতন বলেন, ‘‘আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। দলের সৈনিক ছিলাম। এখনও আছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই আজ আমি এই জায়গায়। সুব্রত বক্সী, মদন মিত্র-সহ দলের নেতারা আমাকে বুঝিয়েছেন। দল যে দায়িত্ব দেবে, তা পালন করবো।’’
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পরিস্থিতি ছিল কিঞ্চিৎ ভিন্ন। দল ‘কড়া ব্যবস্থা’ নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেও মনোনয়ন প্রত্যাহারে রাজি ছিলেন না কলকাতার পুরভোটে তৃণমূলের তিন নির্দল প্রার্থী। এই ভোটে মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিধানসভা ভবানীপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭২ এবং ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে যথাক্রমে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রতন মালাকার। পাশাপাশি, প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভগ্নি তনিমা চট্টোপাধ্যায় নির্দল প্রার্থী হয়েছেন বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে। রতন মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও বাকি দু’জন কী করবেন, তা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
বুধবার শেষ হয়েছে কলকাতা পুরভোটের মনোনয়ন পর্ব। মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন সচ্চিদানন্দ। বুধবার মনোনয়ন জমা দেন রতন ও তনিমা চট্টোপাধ্যায়। যার প্রেক্ষিতে দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস কুমার বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘৪ তারিখ (শনিবার) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে নির্দল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাববে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy