শূন্যপদে নিয়োগের দাবি এবং প্রতিশ্রুতি মতো পদোন্নতি না মেলার দাবিতে বিক্ষোভে শামিল হলেন কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারেরা। সোমবার বাজেট অধিবেশন চলাকালীন কলকাতা পুরসভার সিংহদুয়ারের বাইরে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করলেন তাঁরা।
সোমবার থেকে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। সেই অধিবেশন চলাকালীনই দুপুর ১টা নাগাদ পুরসভার বাইরে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারেরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গত প্রায় সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁদের পদোন্নতি আটকে রয়েছে। অনেক দিন ধরে আন্দোলন করেও লাভ হয়নি। আন্দোলনকারীদের তরফে এক জনের কথায়, ‘‘বহু দিন ধরে প্রমোশন আটকে রয়েছে। এ দিকে, প্রায় ৫০ শতাংশ অ্যাসিন্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদ খালি পড়ে রয়েছে। সেই কাজ নিম্নস্তরের কর্মচারীদের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে। এই অবস্থায় যাতে কলকাতাবাসীর পরিষেবা বিন্দুমাত্র বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য আমরা সব কর্মীকে নির্দেশ দিয়েছি যে, তাঁরা যেন নিজেদের কাজ শেষ হওয়ার পর প্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় থেকে ওই অসমাপ্ত কাজও করে দেন। তাঁরা প্রায় রাত ৮টা-৯টা অবধি কাজ করছেন।’’
আরও পড়ুন:
একই অভিযোগ নিয়ে গত সোমবারও পুরসভার অন্দরে অতিরিক্ত পুর কমিশনার প্রবালকান্তি মাইতির ঘরের সামনে মাটিতে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন পুরকর্মীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, মেয়র ফিরহাদ হাকিম তাঁদের জট কাটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই মতো কমিটিও গড়া হয়। কমিটির কাছে নিজেদের সমস্যার কথা জানান আন্দোলনকারী ইঞ্জিনিয়ারেরা। কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি। তাঁদের আরও অভিযোগ, পুরসভারই দুই আধিকারিক চক্রান্ত করে তাঁদের পদোন্নতি আটকানোর চেষ্টা করছেন। এ প্রসঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানস সিংহ বলেন, ‘‘আমরা আন্দোলন করছিলাম। সে সময় মেয়র সাহেব আমাদের ডেকে বলেন, আন্দোলনের কোনও প্রয়োজন নেই। মেয়র সর্বোচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের নিয়ে কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন। কমিটিতে আমাদের বক্তব্য শোনা হয়। কমিটি রিপোর্ট তৈরি করে। মেয়রের দফতরেও তা পাঠানো হয়। আমরা আশাবাদী ছিলাম, জট কাটবে।’’ তার পর কয়েক সপ্তাহ কেটে গেলেও সুরাহা না হওয়ায় ফের বিক্ষোভে নেমেছেন আন্দোলনকারীরা।