কেএলও প্রধান জীবন সিংহ। ফাইল চিত্র।
আপাতত কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, পূর্ণাঙ্গ কামতাপুর রাজ্যই চাইছেন কেএলও প্রধান জীবন সিংহ। দিল্লিতে শান্তি আলোচনা শুরুর আগে দুই মেয়ের সঙ্গেও দেখা করতে চেয়েছেন তিনি। দুই মেয়েই এখন রয়েছে আলিপুরদুয়ারে।
মায়ানমারের জঙ্গি শিবির থেকে জীবন ভারতে ফিরেছেন কি না, ফিরলে তিনি এখন কোথায় রয়েছেন, এই সব নিয়েই ধোঁয়াশা অব্যাহত। যদিও একটি গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, গুয়াহাটির কোনও গোপন ঠিকানায় তাঁকে রাখা হয়েছে। আরও দাবি, সঙ্গে রয়েছেন পাভেল কোচ, সূর্য কোচ, বিশ্বজিৎ রায়-সহ কেএলও-র ১৫ জনের দল। সম্ভবত আগামী কালই দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে আলোচনা শুরু হতে পারে জীবনের। জীবনের গড়ে দেওয়া শান্তি কমিটির দুই সদস্য টম অধিকারী ও হর্ষবর্ধনও জীবনের সঙ্গে আছেন।
সন্ত্রাসবাদী জীবন সিংহ এখনও পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে অনড় বলেই সূত্রের দাবি। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বা প্রশাসনের অন্য কোনও সূত্রে এই দাবির বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।
জীবনকে ভারতে ফেরানোর পিছনে রয়েছেন শান্তি কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ রায়। তিনি আনন্দবাজারকে বলেন, “১৬ ডিসেম্বর আমাদের তরফে আলোচনার বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তার পরেই জীবনকে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে সব পরিষ্কার হবে।” অসমে সীমানা পুনর্নির্ধারণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার মধ্যে কী ভাবে অসমের অঙ্গচ্ছেদ করে পৃথক কোচ রাজ্য হবে? বিশ্বজিৎ বলেন, “সেই সব সিদ্ধান্ত আমরা কেন্দ্রের হাতে ছেড়েছি।”
প্রশ্ন উঠেছে, এখনও যিনি সন্ত্রাসবাদী হিসে বে পরিচিত, তাঁর দাবি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কতটা গুরুত্ব দেবে? বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শনিবার কোচবিহারে বলেন, “আমরা চাই উত্তরবঙ্গের যাঁরা হিংসার পথে গিয়েছিলেন, তাঁরা সবাই শান্তির পথে ফিরে আসুন। গণতান্ত্রিক দেশে আলোচনার মাধ্যমে সব কিছুর সমাধান সম্ভব।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের মন্তব্য, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য বিজেপির প্রয়োজন হবে জীবন সিংহদের। তাঁদের মূল স্রোতে নিয়ে এসে মাঠে নামানোর চেষ্টা করা হবে।”
জীবন সিংহের বোন সুমিত্রা বর্মণ বলেন, “গত বছর ৮ জানুয়ারি ফোনে দাদার সঙ্গে কথা হয়। তখনই দাদা জানান, কয়েক দিনের মধ্যে দেশে ফিরবেন। দিল্লিতে যাবেন। সেখানে মেয়েদের সঙ্গে দেখা করতেও চেয়েছেন দাদা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy