Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

প্রচারে তিন দলই, সরগরম রেল শহর

এ দিন বিকেলে শহরে এসে তিনটি প্রচার সভায় যোগ দেবেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। প্রথম সভাটি হবে আয়মায়। তারপরে পাঁচবেড়িয়ার ৩ এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রচার সভায় যোগ দেবেন শুভেন্দু।

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৯ ০১:০০
Share: Save:

উপ-নির্বাচনে তিন রাজনৈতিক দলের ‘রবিবাসরীয়’ প্রচারে সরগরম হতে চলেছে রেলশহর। আজ, রবিবার খড়্গপুর শহরে বিজেপি, তৃণমূল ও কংগ্রেসের প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার চালাবেন তিন দলের রাজ্য স্তরের নেতারা।

এ দিন বিকেলে শহরে এসে তিনটি প্রচার সভায় যোগ দেবেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। প্রথম সভাটি হবে আয়মায়। তারপরে পাঁচবেড়িয়ার ৩ এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রচার সভায় যোগ দেবেন শুভেন্দু। জমি ছাড়তে নারাজ বিজেপিও এ দিন তাদের রাজ্য নেতাদের হাজির করতে চলেছে। একই দিনে শহরে প্রচার চালাবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিকেলে আসবেন বিজেপির রাজ্য নেতা মুকুল রায়ও। দু’জনেই যোগ দেবেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সম্মেলনে। অন্যদিকে, প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই বাম-কংগ্রেস জোটও। এ দিন ইন্দায় কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে বাম-কংগ্রেস যৌথসভায় উপস্থিত থাকবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী প্রমুখ।

অবশ্য রবিবারের ওই সভার আগে শনিবারও শহরে তিন দলের পক্ষ থেকেই প্রচার চলেছে জোরকদমে। এ দিন বিজেপির হয়ে প্রচারে এসেছিলেন সাংসদ কুনার হেমব্রম। তিনি এ দিন শহরের ৫, ৯ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার চালান। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আদিবাসী পাড়ায় যেমন জনসংযোগ করেন, তেমনই ওই ওয়ার্ডের মুসলিম অধ্যুসিত এলাকাতেও প্রচার চালান। সাড়া পেলেন কেমন? কুনারের উত্তর, “আমরা যে সময়ে প্রচার করলাম তখন অনেকেই কাজে বেরিয়ে গিয়েছেন। ফলে ২০ শতাংশ মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। ওই এলাকার মানুষ তো জয় শ্রী রাম বলল। আমাদের আশা বাড়ছে।” তবে ওই এলাকার বাইরে মুসলিম এলাকায় তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেন তিনি। ঝাড়গ্রামের সাংসদ বলেন, “এখানে মুসলিমদের সে ভাবে সাড়া পেলাম না। আসলে তৃণমূল মুসলিমদের ভুল বোঝাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের দলের কর্মীদের বলব স্থানীয় নেতাদের এগিয়ে গিয়ে ভুল ভাঙাতে হবে। তৃণমূল যে উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে সেটা বলতে হবে।”

এ দিন কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার। তিনি এ দিন ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার চালান। পরে শুভঙ্কর বলেন, “বিজেপি বর্বর হয়ে গিয়েছে। আর তৃণমূল ও বিজেপি একই রূপ। ওঁরা নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে নিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। তাছাড়া বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ এসপি থাকাকালীন পুলিশ-মাফিয়া নিয়ে জোর করে পুরপ্রধান হয়েছিলেন এই তৃণমূল প্রার্থী। শুনছিলাম তিনি টিকিট না পেলে বিজেপিতে চলে যেতেন। তাই মানুষ সবদিক বিচার করে ভোট দেবেন।” এ দিন তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনেও বাড়ি-বাড়ি প্রচার হয় ১৭, ১৯ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “কংগ্রেসের ব্যর্থতার জন্য ভারতে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় এসেছে। কংগ্রেস তো এখন সাইনবোর্ড। আর বিজেপি জবাব দিক দিলীপবাবু কেন নিজে সাড়ে তিনবছর কাজ না করে সমাজবিরোধীকে প্রার্থী করলেন? ধর্মীয় মেরুকরণ কারা করে বাংলার মানুষ জানে। মানুষ চোখ-মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে তাঁরা আমাদের প্রার্থীকে জেতাতে প্রস্তুত।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy