প্রতীকী ছবি।
নভেম্বর পর্যন্ত নিখরচায় খাদ্যশস্য দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তার পরেই কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির পথে হাঁটল তারা। বঙ্গে এক লাফে লিটার প্রতি দশ টাকা বাড়তি গুণতে হবে গ্রাহককে। আদতে যা কেন্দ্রের ‘খুঁড়োর কলে’র মতো সিদ্ধান্ত বলে ব্যাখ্যা সংশ্লিষ্ট মহলের।
জুন মাসে কলকাতা ও বিধাননগরে কেরোসিনের গ্রাহকমূল্য ছিল লিটার পিছু ১৮ টাকার আশেপাশে। জুলাই মাসে তা বেড়ে হতে চলেছে ২৮ টাকার মতো। মে মাসে শহরের কেরোসিনের গ্রাহকমূল্য ছিল ১৬ টাকা। তবে কলকাতার তুলনায় জেলায় দাম দু’-তিন টাকা (দূরত্বের উপর নির্ভর করে) বেশি হয়। ফলে সেখানে তিরিশ টাকার আশেপাশে হতে চলেছে গ্রাহকমূল্য। কেরোসিনের দাম এবং রাজ্যের মোট বরাদ্দ কেন্দ্রীয় সরকার স্থির করে। তবে মাথাপিছু বণ্টন নির্ধারণ করে রাজ্য সরকার। নিখরচায় খাদ্য দিলেও তা রান্নার জন্য জ্বালানির প্রয়োজন রয়েছে। অথচ কেরোসিনের দাম বাড়ায় নিখরচায় খাদ্যশস্য প্রাপ্তি আদতে আমজনতার কাছে ‘খুঁড়োর কল’ হবে। তেমনই মত সংশ্লিষ্ট মহলের। তাদের মতে, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার খাবার দিচ্ছে। অথচ রান্নার খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটা খুঁড়োর কল ছাড়া আর কি?’’ পশ্চিমবঙ্গ কেরোসিন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অশোক গুপ্তের বক্তব্য, ‘‘গরিব মানুষ চাল পাবে। কিন্তু ভাত পাবে না। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের রসিকতা ছাড়া আর কী!’’
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের অনেকের মতে, আমজনতা এখন আর কেরোসিনে রান্না করেন না। কারণ, বর্তমানে উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে আমজনতার কাছে গ্যাস পৌঁছছে। ফলে জ্বালানি নিয়ে আগের মতো ভাবতে হয় না আমজনতাকে। রাজ্যে উজ্জ্বলা গ্রাহকের মোট সংখ্যা ৮৮.১৪ লক্ষ। তাই ‘খুঁড়োর কলে’র যুক্তি অর্থহীন।
এত দিন রাজ্যের ৯.৩২ কোটি মানুষ কেরোসিন পেতেন। জুন মাস থেকে তা হয়েছে ৯.৮২ কোটি গ্রাহক। তবে প্রাপ্য কমেছে আমজনতার। এত দিন পর্যন্ত ডিজিটাল রেশনকার্ডধারীরা (বিশেষ এলাকা ছাড়া) মাথাপিছু ৬০০ মিলিলিটার (এমএল) কেরোসিন পেতেন। এখন থেকে তাঁরা ৫০০ এমএল পাবেন। ফলে চলতি মাস থেকে প্রাপ্য কমার সঙ্গে কেরোসিন বাবদ খরচও প্রায় ৫৫ শতাংশের বেশি বেড়ে যেতে চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy