Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Recruitment Scam

‘যা করেছি, সবই বোর্ডের নির্দেশে’, নিয়োগকাণ্ডে গ্রেফতারির পর দাবি করলেন কৌশিক মাজি

নিয়োগ দু্র্নীতিকাণ্ডে সোমবার গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ সেন। সূত্রের খবর, তাঁকে জেরা করেই কৌশিকের ভূমিকা জানতে পেরেছে সিবিআই। পার্থ এবং কৌশিককে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

image of CBI

— প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ২১:২০
Share: Save:

নিয়োগ দু্র্নীতি মামলায় ধৃত কৌশিক মাজিকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পাঠাল নিম্ন আদালত। অভিযোগ, ওএমআর স্ক্যানিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই কৌশিকের। এমন ভাবে ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) সংরক্ষণ করিয়েছিলেন, যাতে তা এডিট করা যায়। কৌশিকের আইনজীবী জানিয়েছেন, সবটাই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নির্দেশে করেছেন তাঁর মক্কেল।

নিয়োগ দু্র্নীতিকাণ্ডে সোমবার গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ সেন। সূত্রের খবর, তাঁকে জেরা করেই কৌশিকের ভূমিকা জানতে পেরেছে সিবিআই। পার্থ এবং কৌশিককে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার পরিকল্পনা রয়েছে সিবিআইয়ের। সিবিআইয়ের দাবি, উত্তরপত্রের স্ক্যানিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল কৌশিকের। উত্তরপত্রের ‘ইমেজ কপি’ না রেখে ‘টেক্সট ফর্মাট’- এ রাখার সিদ্ধান্ত কৌশিকই নিয়েছিলেন। এই ফর্মাটে উত্তরপত্র রাখলে তা সহজেই এডিট করা যায়। সিবিআইয়ের দাবি, উত্তরপত্রের ব্যাকআপ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কৌশিক-সহ তাঁর সংস্থার অংশীদারেরা। এ নিয়ে কৌশিককে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সহযোগিতা না করে মৃত অংশীদার গৌতম মুখোপাধ্যায় এবং অশোক মাজির উপর দায় চাপিয়ে দেন। যদিও কৌশিকের আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘যা কিছু করেছি, বোর্ডের নির্দেশ মতো।’’

মঙ্গলবার ওএমআর শিট প্রস্তুতকারী সংস্থা এসএন বসু রায় অ্যান্ড সংস্থার কর্তা কৌশিক গ্রেফতার হন। এর আগে সিবিআই তাঁকে তলব করেছিল। গত মাসে ওএমআর সংস্থার যে দুই আধিকারিকের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন কৌশিক। কৌশিকের দাশনগরে বাড়ি, অফিস-সহ ছ’টি জায়গায় তল্লাশিও চালানো হয়েছিল। এ ছাড়াও সেই সময় সল্টলেকের সৌরভ মুখোপাধ্যায় নামে এক আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে খবর মিলেছিল, তাঁদের বাড়ি থেকে কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক-সহ বহু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়।

সিবিআই সূত্রে খবর, এসএন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নিয়োগ প্রক্রিয়ার উত্তরপত্র মূল্যায়ন এবং ওএমআর শিট প্রস্তুত করার দায়িত্বে ছিল। কৌশিক সেই সংস্থারই অন্যতম অংশীদার। নিয়োগকাণ্ডের তদন্ত চলাকালীন সোমবার দুপুরে এই সংস্থারই কর্মী পার্থকে গ্রেফতার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, পার্থই দুর্নীতির ‘মূল চাবিকাঠি’। সোমবার আলিপুর আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, ওএমআর শিটের মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে সরাসরি যুক্ত পার্থ। তিনিই অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করেছিলেন। পরে সেই তালিকা পর্ষদ অফিসে পৌঁছয়। তালিকায় নাম থাকা বেশ কয়েক জনের চাকরিও হয়েছে বলে দাবি করেছে সিবিআই।

অন্য বিষয়গুলি:

Recruitment Scam CBI
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy