প্রতীকী ছবি।
কখনও দাবি করছেন, শারীরিক ত্রুটি নিয়ে জন্মানো মেয়েকে ঘরে নিয়ে যাওয়া নিয়ে দোটানায় ছিলেন তাঁরা। আবার কখনও তাঁদের দাবি, ফেলে দেওয়া হয়নি, হাত ফসকে জলে পড়ে গিয়েছিল শিশুটি। কাটোয়ায় ভাগীরথীতে শিশুকে ভাসিয়ে দেওয়ায় অভিযুক্তদের পরিজনের মুখে এমন নানা কথাই শোনা গেল রবিবার। এ দিন শিশুটির মা-বাবা-সহ ধৃত পাঁচ জনকে আদালতে তোলা হলে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ কাটোয়ার হরিসভাপাড়া বালির ঘাটে ওই শিশুকন্যাকে কাপড়ে মুড়ে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘাটে মাছ ধরতে আসা প্রৌঢ় রতন শেখের তা নজরে পড়ায় শিশুটিকে তড়িঘ়়ড়ি উদ্ধার করা হয়। আশপাশের লোকজন শিশুটির বাবা শান্ত হালদার, মা পারমিতা হালদার, দাদু বিশ্বনাথ হালদার, দিদিমা সরস্বতী হালদার ও পিসি ডলি হালদারকে আটকে রাখেন। পুলিশ এসে শিশুটিকে কাটোয়া হাসপাতালে পাঠায়। পাঁচ জনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তেরা দোষ স্বীকার করেছে। শিশুটির মা জানিয়েছেন, মেয়ের ঠোঁট ও চোখে সমস্যা রয়েছে। তাই তাকে নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন তাঁরা। পাঁচ জনের বিরুদ্ধেই খুনের চেষ্টা ও অভিভাবকের বিরুদ্ধে ১২ বছরের নীচের শিশুকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এসএনসিইউ বিভাগে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ছ’দিনের শিশুটিকে। চিকিৎসকেরা জানান, শনিবার অল্পের জন্য শিশুটির শ্বাসনালীতে জল ঢোকেনি। সে স্বাভাবিক সাড়া দিচ্ছে।
কাটোয়ার সুদপুর পঞ্চায়েতের মোস্তাফাপুরে বাড়ি পেশায় রংমিস্ত্রি শান্তবাবুর। রবিবার প্রতিবেশীদের একাংশ দাবি করেন, শিশুটির জন্মের পর থেকেই বাড়িতে অশান্তি চলছিল। শারীরিক সমস্যা থাকায় শিশুকে বাড়িতে আনা নিয়ে ধন্দে ছিল বাড়ির লোকজন। শনিবার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকেরা ছেড়ে দিলেও তাই শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে আসতে চায়নি তারা, দাবি কিছু প্রতিবেশীর। এ দিন শিশুটির ঠাকুমা জোৎস্না হালদারের কথাতেও নানা অসঙ্গতি ধরা প়ড়ে। তিনি এক বার বলেন, ‘‘ঠোঁটে সমস্যা আছে মেয়ের, বাড়িতে আনা যায়?’’ তার পরেই তিনি বলেন, ‘‘ওরা বাচ্চাকে জলে ফেলেনি। হাত ফসকে পড়ে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy