নিজস্ব চিত্র।
মৃতদেহ চিহ্নিত হওয়ার ৫ ঘণ্টা পর, ব্যাপক বিক্ষোভ সামাল দিয়ে বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার দেহ উদ্ধার করে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। অর্জুনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কাশীপুর-বেলগাছিয়ার তৃণমূল বিধায়ক অতীন ঘোষ। তাঁর সঙ্গেই ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর সুমন সিংহ। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুই দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত ভাবে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। লাঠি চালিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।
অর্জুনের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই বিজেপি নেতা কর্মীদের কাশীপুরে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপির সভাপতি কল্যাণ চৌবে। সেই মতো অকুস্থলে আসতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। সেই সময়ই স্থানীয় কাউন্সিলরকে নিয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন স্থানীয় বিধায়ক তথা ডেপুটি মেয়র অতীন। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অতীনকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। পাল্টা বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরাও। দুই পক্ষের মাঝে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে থাকে পুলিশ। দায়িত্বে ডিসি সেন্ট্রাল ও ডিসি নর্থ।
বিজেপির দাবি, অমিত শাহ না আসা পর্যন্ত অর্জুনের মৃতদেহ ছুঁতে দেওয়া হবে না পুলিশকে। পাল্টা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে তৃণমূল। এতে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। যে ঘরে অর্জুনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়, কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সেই ঘরের দরজা আগলে দাঁড়িয়ে পড়েন কল্যাণ।
পুলিশ দু’পক্ষকে দু’দিকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে লাঠিচার্জ করতেও দেখা যায় পুলিশকে। উত্তেজিত দু’পক্ষকে সরিয়ে দেওয়ার পর অকুস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ততক্ষণে কেটে গিয়েছে ৫ ঘণ্টা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy