সুবিচারের আশায় শুক্রবার, ষষ্ঠীর সকালে কামদুনি মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন প্রতিবাদীরা। ছিলেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যেরাও। দোষীদের শাস্তির দাবিতে আগামী দিনে প্রয়োজনে তাঁরা সিআইডির সদর দফতর ভবানী ভবন ঘেরাও করতে পারেন বলে জানিয়েছেন।
এ দিন বোধন শেষে কামদুনি মোড়ে জড়ো হন গ্রামবাসী। দলীয় প্রতীক ছাড়া প্রতিবাদে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিনিধি হিসেবে বিক্ষোভে যোগ দেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা।
কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে এখন স্থগিতাদেশ না দিলেও শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট মুক্তিপ্রাপ্তদের জন্য একাধিক শর্ত দিয়েছে। নির্যাতিতার ছোট ভাই বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে একটু খুশি, তবে আরও খুশি হতাম যদি ওদের আবার জেল হত। হাই কোর্টে যখন ১৪ জন সরকারি আইনজীবী পরিবর্তন হয়ে গেল, তখন আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনেক বার চিঠি পাঠিয়েছি। মেল করেছি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টাও করেছি। দেখাও হল না। চিঠির উত্তরও পাইনি।” তিনি পুজোর পরে ভবানী ভবন ঘেরাও করার কথাও বলেন।
কামদুনির প্রতিবাদী মৌসুমী কয়াল বলেন, “পুজোয় আনন্দ বা মজা করব— সেই শান্তি মনে নেই।’’ মৌসুমীর কথায়, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের উপরে ভরসা ছিল এবং আছে। আমরা তো আইনের ঊর্ধ্বে যেতে পারি না। কিন্তু মানুষ যখন কোনও আইনে বিচার পায় না, তখনই আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয়।’’ টুম্পা কয়াল জানান, রাজনীতিকে দূরে রেখেই তাঁরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)