কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় রাজ্যপাল ও সিবিআই। নিজস্ব চিত্র।
নারদ-কাণ্ডে ধৃতদের জামিন মিলতেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফের নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালত থেকে বেরিয়ে কল্যাণ স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘‘সিবিআই পিছনের দরজা দিয়ে গিয়েছিল, রাজ্যপাল তাকে প্রশ্রয় দিয়েছেন।’’ রাজ্যপালকে ‘প্রতিহিংসা পরায়ণ’ বলেও তোপ দেগেছেন কল্যাণ। তাঁর মতে, রাজ্যপাল সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছেন।
সোমবার গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার পুরপ্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম এবং মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র এবং কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। ওই কাণ্ডে আদালতে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপালকে একপ্রস্থ তোপ দেগেছিলেন কল্যাণ। রাজ্যপালকে ‘রক্তচোষা’ এবং ‘পাগলা কুকুর’ বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন। ব্যাঙ্কশাল আদালতে দীর্ঘ শুনানির শেষে বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায় ধৃতদের সকলের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন। তাতে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি আইনজীবী কল্যাণ। আইনজীবী হিসাবে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ফের এক বার ধারালো আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, ‘‘কারও চাপে সিবিআই এ সব করছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি হচ্ছে। রাজ্যপাল স্বাধীন ভাবে বা সরাসরি গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারেন না। তাঁকে সরকারের মাধ্যমে যেতে হবে। সিবিআই গত জানুয়ারি মাসে রাজ্যপালকে চিঠি পাঠিয়েছিল। কিন্তু সরকারকে পাঠায়নি। নতুন সরকার আসার পরেও চিঠি পাঠায়নি সিবিআই। প্রোটেম স্পিকারের কাছেও অনুমতি নেওয়া হয়নি।’’
কল্যাণের অভিযোগ, ‘‘সিবিআই পিছনের দরজা দিয়ে গিয়েছিল। রাজ্যপাল তাকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। কারণ তাঁর প্রতিহিংসা পরায়ণতা রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটা বিকৃত ভিডিয়ো ছাড়া কোনও প্রমাণই নেই। সব শুনেই ধৃতদের সকলকে বিচারক অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন।’’ কল্যাণের মতে, ‘‘রাজ্যপাল সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছেন। এটা তাঁর এক্তিয়ারেই নেই।’’ পাশাপাশি, নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্ত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়কে কেন গ্রেফতার করা হল না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন কল্যাণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy